পাঠ পরিচিতি:-
অপরিচিতা (সাধুরীতিতে লেখা )
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ — ১৯৪১)
বিশ্ববরেণ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ — ১৯৪১) বাংলা সাহিত্যে
ছোটগল্পের প্রথম সার্থক স্রষ্টা। তিনি এমন এক অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে
জন্মেছিলেন, যাঁর স্পর্শে বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি অঙ্গন হয়ে উঠেছে সমৃদ্ধ ও
বৈচিত্র্যে ভাস্বর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্য জীবনে অনেক রূপ নিয়ে পরীক্ষা
করেছেন। ছোটগল্প তাঁর সেই বিচিত্রমুখী প্রতিভার অতি স্মরণীয় অভিজ্ঞান।
ছোটগল্প জীবনের সমগ্র রূপ নিয়ে নয়, জীবনের খন্ডাংশ নিয়ে রচিত হয়। তাই এখানে
প্রতিফলিত হয় ছোট ছোট সুখ-দুঃখ, দৈনন্দিন জীবনপ্রণালি, সাধারণ ও
মধ্যবিত্তের মানবীয় ও সামাজিক টানাপোড়নের কাহিনী। এগুলো তত্কালীন সমাজের
একেবারে হুবহু প্রতিলিপি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘অপরিচিতা’তেও
তত্কালীন হিন্দু সমাজের চিত্র ফুটে উঠেছে।
যৌতুকের বিষবাষ্পে তত্কালীন হিন্দুসমাজ ছিল বিষাক্ত। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার
কাছ থেকে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করত ছেলের বাপ বা অভিভাবক। বিয়ের অনুষ্ঠানে
অনুপমের মামার সন্দেহপ্রবণতার কারণে অনুপম এবং কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায়। এ
ঘটনা তত্কালীন সমাজে বিদ্যমান পণ প্রথাকেই নির্দেশ করে।
তত্কালীন হিন্দু সমাজে ছেলের বাবা বা অভিভাবকের মেয়ের বাবার প্রতি প্রভাব
খাটানো বা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের একটা বিষয় আমরা দেখতে পাই। এ গল্পেও
সে বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছে। অনুপমের মামা এমন বেহাই চায় যে কখনও
প্রত্যুত্তর করবে না। লেখকের ভাষায়—“মামার মুখ তখন অনর্গল ছুটিতেছিল—ধনে
মানে আমাদের স্থান যে শহরের কারও চেয়ে কম নয়, সেইটেকেই তিনি নানা প্রসঙ্গে
প্রচার করিতেছিলেন। বেহাই সম্প্রদায়ের আর যাই থাক, তেজ থাকাটা দোষের।”
তত্কালীন সমাজে বাল্যবিবাহ রীতি প্রচলিত ছিল। কন্যার বয়স আট বছর হলেই বিয়ে
দিতে হবে এটাই ছিল সামাজিক বিধান। এ বিয়েকে বলা হতো গৌরীদান। কিন্তু আমরা
‘অপরিচিতা’ গল্পে দেখতে পাই কল্যাণীর বয়স পনেরো শুনে অনুপমের মামার মন ভার
হয়ে উঠলো। “মেয়ের বয়স যে পনেরো, তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইল।”
তত্কালীন হিন্দুসমাজে অর্থের মানদন্ডে সবকিছু বিচার করা হতো। বিয়ের
অনুষ্ঠানে বিয়ে পূর্ববর্তী সময়ে কন্যাকে দেওয়া সোনার গয়নাসমূহ খাঁটি কি না
তা বরের অভিভাবক কর্তৃক পরীক্ষা করে দেখার এক নির্মম রেওয়াজ ছিলো তত্কালীন
হিন্দু সমাজে। এই নির্মমতার বলি হতে হয় অনুপম ও কল্যাণীকে। শম্ভূনাথ বাবু
এমন আচরণে মেয়েকে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে অনুপম-কল্যাণীর জীবনে
নেমে আসে করুণ ট্রাজেডি। অনুপম অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে। একসময় দেখাও হয়
কল্যাণীর সাথে। কল্যাণীর বাবার মন নরম হলেও গলে না কল্যাণীর মন। বিয়ে ভাঙার
পর থেকে কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করে।
তত্কালীন সমাজ ছিল কুসংস্কারে পূর্ণ এবং সমাজব্যবস্থায় ছিল নিষ্ঠুরতা ও
স্বার্থপরতা। সমগ্র পরিবারে পিতার বা অভিভাবকের কর্তৃত্ব চূড়ান্ত বলে
গৃহীত হতো। শিক্ষিত, সত্পাত্র এম.এ. পাশ ছেলে অপূর্ব মামার সকল কথা
সশ্রদ্ধচিত্তে গ্রহণ ও পালন করেছে। নিজস্বতা বলে তার কিছু আছে তা আমরা
দেখতে পাই না। নির্মম সমাজব্যবস্থার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। লেখকের
ভাষায়—“মূর্তিমর্তী মাতৃ-আজ্ঞা-স্বরূপে মামা উপস্থিত, তাঁর বিরুদ্ধে চলা
আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি আহারে বসিতে পারিলাম না।”পরিশেষে বলা যায়, উনিশ শতক
কেবলই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল তা নয় বরং রেনেসাঁর যুগও। এখান থেকেই সমাজের
একটু একটু করে পরিবর্তন শুরু হয়েছিল, যেটা বর্তমানে অনেকটা দূরে এগিয়েছে।
১. অনুপমের বয়স -২৭
২. "এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে " উক্তিটি- অনুপমের
৩. "তবু ইহার একটি বিশেষ মূল্য আছে " উক্তিটি- অনুপমের
৪. পণ্ডিত মশাই অনুপমকে তুলনা করেছেন - শিমুল ফল ও মাকাল ফলের সাথে।
৫. অনুপমের বাবা কী করে প্রচুর টাকা রোজগার করত? - ওকালতি
৬. মামা অনুপমদের সংসার টাকে কিসের মতো নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া লইয়াছেন - ফাল্গুর বালির মত
৭. মামার অস্থিমজ্জায়য় কী জড়িত? - টাকার প্রতি আসক্তি
৮. কে কানপুরে কাজ করে - হরিশ
৯. হরিশ ছুটিতে কোথায় এসেছিল - কলকাতা
১০. কিছুদিন পূর্বেই অনুপম কী পাস করেছে- এম.এ. (MA)
১১. একে তো বরের হাট মহার্ঘ তাহার পরে? - ধনুক ভাঙ্গা পণ
১২. বাপ কেবলই সবুর করিতেছেন কিন্তু সবুর করিতেছে না - মেয়ের বয়স
১৩. হরিশের কেমন গুণ আছে? - সরস রচনার
১৪. কলিকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে মামা কীসের অন্তর্গত জানেন? - আণ্ডামান দ্বীপ
১৫. বিনু দাদা কে? - অনুপমের পিসততো ভাই
১৬. মেয়ের পিতার নাম - শম্ভুনাথ সেন/বাবু
১৭.কার মুখ অনর্গল ছুটছিল- মামার
১. জীবনে একবার বিশেষ কাজে কোন পর্যন্ত গিয়েছিলেন - কোন্নগর
২. কার রুচি এবং দক্ষতার উপর কথক/অনুপম ষোল - আনা নির্ভর করতে পারে- বিনুদাদার
৩. "মন্দ নয় হে! খাঁটি সোনা বটে " উক্তিটি- বিনুদাদার
৪. শম্ভুনাথ বাবু কখন অনুপমকে প্রথম দেখেন- বিবাহের তিন(৩) দিন আগে
৫. কার বয়ম ৪০ এর কিছু ওপারে বা এপারে- শম্ভুনাথ বাবুর
৬. কার চুল কাঁচা, গোঁফে পাক ধরা আরম্ভ হয়েছে মাত্র - শম্ভুনাথ বাবুর
৭. মামা কাকে সুদ্ধ এনেছিল - স্যাকরাকে
৮. মামা কোথায় গহনাগুলোর ফর্দ টুকিয়া লইলেন - নোট বইয়ে
৯. "ঠাট্রার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই" উক্তিটি- শম্ভুনাথ বাবুর
১০. "কারণ, প্রমাণ হইয়া গেছে, আমি কেউই নই " উক্তিটি - অনুপমের
১১. "তাহা হইলে তামাশার যেটুকু বাকি আছে তাহা পুরা হইবে " উক্তিটি- হিতৈষীদের
১২. সমস্ত মন কার পানে ছুটিয়া গিয়াছিল - অপরিচিতার
১৩. কিন্তু কথা এমন করিয়া ফুরাইল না উক্তিটি - অনুপমের
১৪. কতক্ষণ পরে গাড়ি আসিল - দুই তিন মিনিট পর
১৫. স্টেশনে দেখা মেয়েটির বয়স কত? - ১৬ বা ১৭
১৬. মেয়েটির সাথে কয়টি ছোটো ছোটো মেয়ে ছিল - দুটি তিনটি
১৭. খাবারওয়ালাকে ডেকে সে খুব খানিকটা কী কিনল? - চানা মুঠ।
অপরিচিতা (সাধুরীতিতে লেখা )
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ — ১৯৪১)
বিশ্ববরেণ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ — ১৯৪১) বাংলা সাহিত্যে
ছোটগল্পের প্রথম সার্থক স্রষ্টা। তিনি এমন এক অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে
জন্মেছিলেন, যাঁর স্পর্শে বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি অঙ্গন হয়ে উঠেছে সমৃদ্ধ ও
বৈচিত্র্যে ভাস্বর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্য জীবনে অনেক রূপ নিয়ে পরীক্ষা
করেছেন। ছোটগল্প তাঁর সেই বিচিত্রমুখী প্রতিভার অতি স্মরণীয় অভিজ্ঞান।
ছোটগল্প জীবনের সমগ্র রূপ নিয়ে নয়, জীবনের খন্ডাংশ নিয়ে রচিত হয়। তাই এখানে
প্রতিফলিত হয় ছোট ছোট সুখ-দুঃখ, দৈনন্দিন জীবনপ্রণালি, সাধারণ ও
মধ্যবিত্তের মানবীয় ও সামাজিক টানাপোড়নের কাহিনী। এগুলো তত্কালীন সমাজের
একেবারে হুবহু প্রতিলিপি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘অপরিচিতা’তেও
তত্কালীন হিন্দু সমাজের চিত্র ফুটে উঠেছে।
যৌতুকের বিষবাষ্পে তত্কালীন হিন্দুসমাজ ছিল বিষাক্ত। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার
কাছ থেকে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করত ছেলের বাপ বা অভিভাবক। বিয়ের অনুষ্ঠানে
অনুপমের মামার সন্দেহপ্রবণতার কারণে অনুপম এবং কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায়। এ
ঘটনা তত্কালীন সমাজে বিদ্যমান পণ প্রথাকেই নির্দেশ করে।
তত্কালীন হিন্দু সমাজে ছেলের বাবা বা অভিভাবকের মেয়ের বাবার প্রতি প্রভাব
খাটানো বা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের একটা বিষয় আমরা দেখতে পাই। এ গল্পেও
সে বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছে। অনুপমের মামা এমন বেহাই চায় যে কখনও
প্রত্যুত্তর করবে না। লেখকের ভাষায়—“মামার মুখ তখন অনর্গল ছুটিতেছিল—ধনে
মানে আমাদের স্থান যে শহরের কারও চেয়ে কম নয়, সেইটেকেই তিনি নানা প্রসঙ্গে
প্রচার করিতেছিলেন। বেহাই সম্প্রদায়ের আর যাই থাক, তেজ থাকাটা দোষের।”
তত্কালীন সমাজে বাল্যবিবাহ রীতি প্রচলিত ছিল। কন্যার বয়স আট বছর হলেই বিয়ে
দিতে হবে এটাই ছিল সামাজিক বিধান। এ বিয়েকে বলা হতো গৌরীদান। কিন্তু আমরা
‘অপরিচিতা’ গল্পে দেখতে পাই কল্যাণীর বয়স পনেরো শুনে অনুপমের মামার মন ভার
হয়ে উঠলো। “মেয়ের বয়স যে পনেরো, তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইল।”
তত্কালীন হিন্দুসমাজে অর্থের মানদন্ডে সবকিছু বিচার করা হতো। বিয়ের
অনুষ্ঠানে বিয়ে পূর্ববর্তী সময়ে কন্যাকে দেওয়া সোনার গয়নাসমূহ খাঁটি কি না
তা বরের অভিভাবক কর্তৃক পরীক্ষা করে দেখার এক নির্মম রেওয়াজ ছিলো তত্কালীন
হিন্দু সমাজে। এই নির্মমতার বলি হতে হয় অনুপম ও কল্যাণীকে। শম্ভূনাথ বাবু
এমন আচরণে মেয়েকে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে অনুপম-কল্যাণীর জীবনে
নেমে আসে করুণ ট্রাজেডি। অনুপম অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে। একসময় দেখাও হয়
কল্যাণীর সাথে। কল্যাণীর বাবার মন নরম হলেও গলে না কল্যাণীর মন। বিয়ে ভাঙার
পর থেকে কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করে।
তত্কালীন সমাজ ছিল কুসংস্কারে পূর্ণ এবং সমাজব্যবস্থায় ছিল নিষ্ঠুরতা ও
স্বার্থপরতা। সমগ্র পরিবারে পিতার বা অভিভাবকের কর্তৃত্ব চূড়ান্ত বলে
গৃহীত হতো। শিক্ষিত, সত্পাত্র এম.এ. পাশ ছেলে অপূর্ব মামার সকল কথা
সশ্রদ্ধচিত্তে গ্রহণ ও পালন করেছে। নিজস্বতা বলে তার কিছু আছে তা আমরা
দেখতে পাই না। নির্মম সমাজব্যবস্থার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। লেখকের
ভাষায়—“মূর্তিমর্তী মাতৃ-আজ্ঞা-স্বরূপে মামা উপস্থিত, তাঁর বিরুদ্ধে চলা
আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি আহারে বসিতে পারিলাম না।”পরিশেষে বলা যায়, উনিশ শতক
কেবলই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল তা নয় বরং রেনেসাঁর যুগও। এখান থেকেই সমাজের
একটু একটু করে পরিবর্তন শুরু হয়েছিল, যেটা বর্তমানে অনেকটা দূরে এগিয়েছে।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১. অনুপমের বয়স -২৭
২. "এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে " উক্তিটি- অনুপমের
৩. "তবু ইহার একটি বিশেষ মূল্য আছে " উক্তিটি- অনুপমের
৪. পণ্ডিত মশাই অনুপমকে তুলনা করেছেন - শিমুল ফল ও মাকাল ফলের সাথে।
৫. অনুপমের বাবা কী করে প্রচুর টাকা রোজগার করত? - ওকালতি
৬. মামা অনুপমদের সংসার টাকে কিসের মতো নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া লইয়াছেন - ফাল্গুর বালির মত
৭. মামার অস্থিমজ্জায়য় কী জড়িত? - টাকার প্রতি আসক্তি
৮. কে কানপুরে কাজ করে - হরিশ
৯. হরিশ ছুটিতে কোথায় এসেছিল - কলকাতা
১০. কিছুদিন পূর্বেই অনুপম কী পাস করেছে- এম.এ. (MA)
১১. একে তো বরের হাট মহার্ঘ তাহার পরে? - ধনুক ভাঙ্গা পণ
১২. বাপ কেবলই সবুর করিতেছেন কিন্তু সবুর করিতেছে না - মেয়ের বয়স
১৩. হরিশের কেমন গুণ আছে? - সরস রচনার
১৪. কলিকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে মামা কীসের অন্তর্গত জানেন? - আণ্ডামান দ্বীপ
১৫. বিনু দাদা কে? - অনুপমের পিসততো ভাই
১৬. মেয়ের পিতার নাম - শম্ভুনাথ সেন/বাবু
১৭.কার মুখ অনর্গল ছুটছিল- মামার
১. জীবনে একবার বিশেষ কাজে কোন পর্যন্ত গিয়েছিলেন - কোন্নগর
২. কার রুচি এবং দক্ষতার উপর কথক/অনুপম ষোল - আনা নির্ভর করতে পারে- বিনুদাদার
৩. "মন্দ নয় হে! খাঁটি সোনা বটে " উক্তিটি- বিনুদাদার
৪. শম্ভুনাথ বাবু কখন অনুপমকে প্রথম দেখেন- বিবাহের তিন(৩) দিন আগে
৫. কার বয়ম ৪০ এর কিছু ওপারে বা এপারে- শম্ভুনাথ বাবুর
৬. কার চুল কাঁচা, গোঁফে পাক ধরা আরম্ভ হয়েছে মাত্র - শম্ভুনাথ বাবুর
৭. মামা কাকে সুদ্ধ এনেছিল - স্যাকরাকে
৮. মামা কোথায় গহনাগুলোর ফর্দ টুকিয়া লইলেন - নোট বইয়ে
৯. "ঠাট্রার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই" উক্তিটি- শম্ভুনাথ বাবুর
১০. "কারণ, প্রমাণ হইয়া গেছে, আমি কেউই নই " উক্তিটি - অনুপমের
১১. "তাহা হইলে তামাশার যেটুকু বাকি আছে তাহা পুরা হইবে " উক্তিটি- হিতৈষীদের
১২. সমস্ত মন কার পানে ছুটিয়া গিয়াছিল - অপরিচিতার
১৩. কিন্তু কথা এমন করিয়া ফুরাইল না উক্তিটি - অনুপমের
১৪. কতক্ষণ পরে গাড়ি আসিল - দুই তিন মিনিট পর
১৫. স্টেশনে দেখা মেয়েটির বয়স কত? - ১৬ বা ১৭
১৬. মেয়েটির সাথে কয়টি ছোটো ছোটো মেয়ে ছিল - দুটি তিনটি
১৭. খাবারওয়ালাকে ডেকে সে খুব খানিকটা কী কিনল? - চানা মুঠ।
১। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের বয়স কত বছর?
ক. পঁচিশ
খ. ছাব্বিশ
গ. সাতাশ
ঘ. আটাশ
২। ‘অপরিচিতা’ গল্পে কী করে অনুপমের পিতা প্রচুর টাকা রোজগার করেছিলেন?
ক. ব্যবসা
খ. ওকালতি
গ. ডাক্তারি
ঘ. দালালি
৩। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপম কী পাস করেছে?
ক. এফএ
খ. বিএ
গ. এমএ
ঘ. এমএসসি
৪। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম কী?
ক. বিনু
খ. হরিশ
গ. প্রতাপ
ঘ. অর্পণ
৫। ‘অপরিচিতা’ গল্পে কে শম্ভুনাথ বাবুকে গাড়িতে তুলে দিতে গেলেন না?
ক. অনুপমের মামা
খ. অনুপম
গ. হরিশ
ঘ. বিনুদা
৬। ‘অপরিচিতা’ গল্পে শম্ভুনাথ সেন পেশায় একজন কী ছিলেন?
ক. প্রকৌশলী
খ. ডাক্তার
গ. ব্যবসায়ী
ঘ. শিক্ষক
৭। মেয়েটির কণ্ঠস্বর শুনে অনুপমের মন ভরে যাওয়ার কারণ—
i. মধুর বলে
ii. পরিচিত বলে
iii. সুরেলা বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৮। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মামা তার চেয়ে কত বছরের বড়?
ক. ছয়
খ. সাত
গ. আট
ঘ. নয়
৯। হরিশ কোথায় কাজ করে?
ক. কলকাতা
খ. বেনারস
গ. পাঞ্জাব
ঘ. কানপুর
১০। ‘খোকনের ভাষাটা এমন যে, তিনি অহমিকাকে বলেন দাম্ভিকতাপূর্ণ’— খোকনের সঙ্গে মিল রয়েছে—
i. হরিশ
ii. বিনু
iii. অনুপম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. ii
গ. iii
ঘ. i ও iii
১১। মেয়ের বিয়েতে পণ দিতে কেন শম্ভুনাথ বাবু দ্বিধা করবেন না?
ক. ধনী বলে
খ. একমাত্র মেয়ে বলে
গ. উদার মানুষ বলে
ঘ. জামাই ভালো বলে
১২। ‘অপরিচিতা’ গল্পে কেন কন্যা পক্ষকে কলকাতা আসতে হলো?
ক. বিবাহ উপলক্ষে
খ. গায়েহলুদের জন্য
গ. পণ নির্ধারণে
ঘ. পাত্র দেখতে
১৩। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মামার মুখ লাল হয়ে উঠল কেন?
ক. অপমানে
খ. লজ্জায়
গ. রাগে
ঘ. পরাজয়ে
১৪। ‘সে যেন এই তারাময়ী রাত্রির মতো’—এখানে অনুপমের যে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে—
i. সরলতা
ii. স্নিগ্ধতা
iii. আকুলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
১৫। অনুপমের মামা দুই চোখ মেলে অবাক হয়ে চেয়ে রইল কেন?
ক. কল্যাণীকে দেখে
খ. শম্ভুনাথের কথা শুনে
গ. গহনা দেখে
ঘ. বিয়ের আয়োজন দেখে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
দিশা ও তামিমের মধ্যে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কেউ কাউকে আগে দেখেনি। ফলে একই ট্রেনে যাওয়া সত্ত্বেও কেউ কাউকে চিনতে পারল না।
১৬। উদ্দীপকের চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে—
ক. মসিঁয়ে ও মাতিলদা
খ. জগু ও আহ্লাদি
গ. বুড়ি ও করাতি
ঘ. কল্যাণী ও অনুপম
১৭। উপরিউক্ত চরিত্রের মধ্যে বিবাহ না হওয়ার জন্য দায়ী—
i. তত্কালীন সমাজ
ii. যৌতুক ব্যবস্থা
iii. হীনম্মন্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও ররর
১৮। ট্রেনে অনুপমের ভালো করে ঘুম হলো না কেন?
ক. ঝাঁকুনিতে
খ. আর্দালির চিন্তায়
গ. অপরিচিতার ভাবনায়
ঘ. মাথাব্যথায়
১৯। ‘মোহনকে তার শিক্ষক বিদ্রূপ করত’—মোহনের সঙ্গে মিল রয়েছে কার?
ক. বিনু
খ. শম্ভুনাথ
গ. হরিশ
ঘ. অনুপম
২০। কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হয়েছিল?
ক. হরিশ
খ. মিঠুন
গ. বিনু
ঘ. গোবিন্দ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২১ ও ২২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
তপা তার পিতার একমাত্র সন্তান। তার পিতার একসময় ভালো অবস্থা থাকলেও এখন তা প্রায় শূন্যের কোঠায়। কিন্তু তার পরও তপাকে তার বাবা অনেক ভালোবাসে।
২১। উদ্দীপকের রচনা তোমার পঠিত কোন রচনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ?
ক. মাসি-পিসি
খ. অপরিচিতা
গ. নেকলেস
ঘ. রেইনকোট
২২। উদ্দীপকটির বিষয়বস্তু আবর্তিত হয়েছে—
i. মামার একচ্ছত্র আধিপত্যের ওপর
ii. অনুপমের আনুগত্যের ওপর
iii. কল্যাণীর প্রতিজ্ঞার ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
২৩। অনুপমের মামার চরিত্রে যে বৈশিষ্ট্যটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ—
ক. লোভী
খ. সন্দেহপ্রবণ
গ. স্বার্থপর
ঘ. পরোপকারী
২৪। অনুপমের মামা কেন তার বিয়ের সম্বন্ধের কথা তুলতে পারেন না?
ক. ভয়ে
খ. লজ্জায়
গ. অপমানে
ঘ. অভিমানে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৫ ও ২৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
মায়মুনা শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মায়ের কাছে ফিরে এলে সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে মায়মুনাকে আবার শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
২৫। মায়মুনার সঙ্গে পরিণতির বিষয়ে বৈসাদৃশ্য রয়েছে কার?
ক. দিগম্বরীর
খ. মাতিলদার
গ. কল্যাণীর
ঘ. ফোরস্টিয়ার
২৬। ওই বৈসাদৃশ্যের স্বরূপ—
i. ব্যক্তিত্ববান
ii. আত্মসচেতন
iii. দারিদ্র্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
২৭। হরিশের ক্ষেত্রে যে শব্দটি অধিক পরিমাণে গ্রহণযোগ্য—
ক. রাগী
খ. সরল
গ. লম্পট
ঘ. রসিক
২৮। ‘অপরিচিতা’ গল্পে স্টেশনমাস্টার ছিল—। ফাঁকা ঘরটিতে কোন শব্দটির সঠিক প্রয়োগ হবে?
ক. ভারতীয়
খ. ইতালীয়
গ. ফরাসি
ঘ. ইংরেজ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৯ ও ৩০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
কে তুমি সেজেছো নারী/চিনেও চিনিতে নারী
উদার লাবণ্য তব
রহিয়াছে ভরিয়া ভব... তুমিই বিশ্বের জ্যোতি।
২৯। উদ্দীপকের কবির বর্ণনায় তোমার পঠিত কোন চরিত্রের ভাবগত সাদৃশ্য পাওয়া যায়?
ক. অনুপম
খ. হরিশ
গ. বিনু
ঘ. শম্ভুনাথ
৩০। সাদৃশ্য পাওয়া যায় উভয়ের মধ্যে যে বিষয়ে—
i. রোমান্টিক চেতনায়
ii. ব্যক্তিগত অপূর্ণতায়
iii. উচ্চাকাঙ্ক্ষায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৩১। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মায়ের চোখের পলক পড়ছে না কেন?
ক. মেম সাহেব দেখে
খ. কল্যাণীকে দেখে
গ. সৌন্দর্য দেখে
ঘ. অনুপমের রূপে
৩২। রেলওয়ে কর্মচারী কেন ইংরেজ স্টেশনমাস্টারকে ডেকে আনল?
ক. কামরা দেখতে
খ. টিকিট কাটাতে
গ. মেয়েটির চঞ্চলতায়
ঘ. ভয় দেখাতে
৩৩। ‘বিপাশা তার পিতার একমাত্র মেয়ে বলে বড় আদরের মেয়ে’—বিপাশার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে—
ক. আহ্লাদি
খ. কল্যাণীর
গ. মাতিলদার
ঘ. দিগম্বরীর
৩৪। ‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণী কোন ভাষায় বলল যে ‘আমরা গাড়ি ছাড়িব না’?
ক. বাংলা
খ. ইংরেজি
গ. হিন্দি
ঘ. আরবি
৩৫। ‘অপরিচিতা’ গল্পে ধনীর কন্যা কার পছন্দ নয়?
ক. মামা
খ. অনুপম
গ. হরিশ
ঘ. বিনু
৩৬। ‘মন্দ নয় হে! খাঁটি সোনা বটে’—বাক্যটিতে প্রকাশিত হয়েছে—
ক. শম্ভুনাথের আর্থিক অবস্থা
খ. কল্যাণীর রূপ
গ. দেনা-পাওনার পরিমাণ
ঘ. স্বর্ণের গুণাগুণের অবস্থা
৩৭। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অপরিচিতা’ মূলত কী জাতীয় রচনা?
ক. গবেষণামূলক
খ. উদ্দেশ্যমূলক
গ. নকশাজাতীয়
ঘ. শিক্ষামূলক
৩৮। মামার নিষেধ অমান্য করে কল্যাণীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুপমের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়?
ক. অপরাধবোধ
খ. বিবেকবোধ
গ. লুক্কায়িত প্রেম
ঘ. গভীর সহানুভূতি
৩৯। অনুপম ও কল্যাণীর বিয়েতে যে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে—
ক. কন্যার পিতার পারিবারিক অবস্থা
খ. তত্কালীন উঁচু শ্রেণির মতামত
গ. অনুপমের পিতার প্রতিজ্ঞা
ঘ. দুই পরিবারের অতীত সুসম্পর্ক
৪০। কে বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না?
ক. অনুপম
খ. হরিশ
গ. মামা
ঘ. বিনু
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও
১. গ ২. খ ৩. গ ৪. ক ৫. ক ৬. খ
৭. ক ৮. ক ৯. ঘ ১০. খ ১১. খ ১২. ক ১৩. ক ১৪. গ ১৫. খ ১৬. ঘ ১৭. গ
১৮. গ ১৯. ঘ ২০. গ ২১. খ ২২. ঘ
২৩. ঘ ২৪. খ ২৫. গ ২৬. ক ২৭. ঘ
২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ক ৩১. খ ৩২. গ ৩৩. খ ৩৪. গ ৩৫. ক ৩৬. খ ৩৭. ঘ ৩৮. গ ৩৯. ক ৪০. গ
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।
তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে
সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের
বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো
তাহার চেয়ে কিঞ্চিং ওপরে আছে, সে জন্যই তাড়া।
ক) ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? ১
খ) ‘কলি যে চারপোয়া হইয়া আসিল’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ) উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? আলোচনা করো। ৩
ঘ) উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কী? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
উত্তর : ক) ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
খ) কনের বাবা শম্ভুনাথ বাবুর বিয়ে ভেঙে দেওয়াকে অনুপমের পরিবার কলিকালের আবির্ভারের লক্ষণ হিসেবে অভিহিত করেছে।
বিয়ের দিন অনুপমের মামা স্যাকরা দিয়ে বিয়ের গয়না যাচাই করে। এ বিষয়টি কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ বাবুর ব্যক্তিত্বে আঘাত হানে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শম্ভুনাথ সেন কন্যা সম্প্রদানে অসম্মতি জানায়, যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় অকল্পনীয় ছিল। কন্যার পিতার নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রতিবাদী রূপকে আধুনিক যুগের চূড়ান্ত আত্মপ্রকাশ হিসেবে বোঝানো হয়েছে।
গ) উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা চরিত্রের প্রতিনিধি।
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। যৌতুকের করালগ্রাসে প্রতিনিয়ত বলি হতে হয় আমাদের সমাজের নিষ্পাপ নারীদের। নারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারের অভিভাবকদেরও নানামুখী বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। যৌতুকের মূলে রয়েছে সমাজে বসবাসকারী কিছু লোভী ও হীন মানসিকতার লোক।
উদ্দীপকের বরের বাবাও লোভী ও রক্ষণশীল। একদিকে মেয়ের বয়স নিয়ে তার আপত্তি আছে। অন্যদিকে যৌতুকের টাকার অঙ্কও সে অগ্রাহ্য করতে পারছে না। মেয়ের বয়স নিয়ে তাকে সমাজে হেনস্থা হতে হবে। এই ভয়ে সে ভীত; কিন্তু যৌতুকের পণের টাকার জন্য সে মেয়ের প্রকৃত বয়স লুকাতে প্রতারণা করতেও প্রস্তুত। পণের টাকার গুরুত্ব তার কাছে সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আর এ কারণে কন্যার বয়স বেশি হওয়ায়ও বিয়ের জন্য বরের বাবার এত তাড়া।
‘অপরিচিতা’ গল্পেও আমরা দেখি যৌতুকের প্রতি লোভ ও রক্ষণশীল মনোভঙ্গি। কল্যাণীর বয়স বেশি জেনে অনুপমের মামার মন ভার হয়ে যায়; কিন্তু যৌতুকের টাকার লোভে সে বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ে সম্পর্কে অনুপমের মামার একটি বিশেষ মত আছে। ধনীর কন্যা তার পছন্দ নয়। কন্যার বাবা গরিব হলেও তার যৌতুকের দাবি পূরণ করতে যে অস্বীকার করবে না এমন সম্বন্ধই সে অনুপমের বিয়ের জন্য চাইছিল। বিয়ের দিন স্যাকরা দিয়ে গয়না যাচাই করার বিষয়টি তার লোভী মানসিকতাকে প্রতিভাত করে। আর তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা চরিত্রের প্রতিনিধি।
ঘ) উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না। উদ্দীপকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার লোভী ও রক্ষণশীল মানসিকতা ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের বরের বাবা ও অনুপমের মামা দুজনেরই কনের বয়স নিয়ে আপত্তি ছিল। যৌতুকের লোভে তারা দুজনই বিয়েতে রাজি হয়। মেয়েদের বিয়ে নিয়ে তৎকালীন সমাজের মানসিকতার উন্মোচন এ গল্পের একটি দিক।
‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল সুর নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠার কাহিনি গল্পের নায়িকা কল্যাণী বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় থমকে যায়নি; বরং তাকে অনুপ্রাণিত করেছে তার স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠিত করতে, গল্পের শেষে আমরা দেখি কল্যাণীর এক নতুন মূর্তি দেশ সেবার ব্রতে কল্যাণী এক অতিমানবী হয়ে আমাদের ভাবতে শেখায়। ‘অপরিচিতা’ গল্পের এ মূল দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
এ গল্পের আরেকটি প্রধান দিক কন্যার বাবা শম্ভুনাথ বাবুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ, শম্ভুনাথ বাবু কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার চিরাচরিত লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে নিজের ও কন্যার আত্মসম্মানকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়টিও উদ্দীপকে প্রতীয়মান হয়নি।
আর তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডিত একটি চিত্রকে ধারণ করলেও সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।
ক) ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? ১
খ) ‘কলি যে চারপোয়া হইয়া আসিল’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ) উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? আলোচনা করো। ৩
ঘ) উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কী? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
উত্তর : ক) ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
খ) কনের বাবা শম্ভুনাথ বাবুর বিয়ে ভেঙে দেওয়াকে অনুপমের পরিবার কলিকালের আবির্ভারের লক্ষণ হিসেবে অভিহিত করেছে।
বিয়ের দিন অনুপমের মামা স্যাকরা দিয়ে বিয়ের গয়না যাচাই করে। এ বিষয়টি কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ বাবুর ব্যক্তিত্বে আঘাত হানে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শম্ভুনাথ সেন কন্যা সম্প্রদানে অসম্মতি জানায়, যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় অকল্পনীয় ছিল। কন্যার পিতার নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রতিবাদী রূপকে আধুনিক যুগের চূড়ান্ত আত্মপ্রকাশ হিসেবে বোঝানো হয়েছে।
গ) উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা চরিত্রের প্রতিনিধি।
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। যৌতুকের করালগ্রাসে প্রতিনিয়ত বলি হতে হয় আমাদের সমাজের নিষ্পাপ নারীদের। নারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারের অভিভাবকদেরও নানামুখী বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। যৌতুকের মূলে রয়েছে সমাজে বসবাসকারী কিছু লোভী ও হীন মানসিকতার লোক।
উদ্দীপকের বরের বাবাও লোভী ও রক্ষণশীল। একদিকে মেয়ের বয়স নিয়ে তার আপত্তি আছে। অন্যদিকে যৌতুকের টাকার অঙ্কও সে অগ্রাহ্য করতে পারছে না। মেয়ের বয়স নিয়ে তাকে সমাজে হেনস্থা হতে হবে। এই ভয়ে সে ভীত; কিন্তু যৌতুকের পণের টাকার জন্য সে মেয়ের প্রকৃত বয়স লুকাতে প্রতারণা করতেও প্রস্তুত। পণের টাকার গুরুত্ব তার কাছে সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আর এ কারণে কন্যার বয়স বেশি হওয়ায়ও বিয়ের জন্য বরের বাবার এত তাড়া।
‘অপরিচিতা’ গল্পেও আমরা দেখি যৌতুকের প্রতি লোভ ও রক্ষণশীল মনোভঙ্গি। কল্যাণীর বয়স বেশি জেনে অনুপমের মামার মন ভার হয়ে যায়; কিন্তু যৌতুকের টাকার লোভে সে বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ে সম্পর্কে অনুপমের মামার একটি বিশেষ মত আছে। ধনীর কন্যা তার পছন্দ নয়। কন্যার বাবা গরিব হলেও তার যৌতুকের দাবি পূরণ করতে যে অস্বীকার করবে না এমন সম্বন্ধই সে অনুপমের বিয়ের জন্য চাইছিল। বিয়ের দিন স্যাকরা দিয়ে গয়না যাচাই করার বিষয়টি তার লোভী মানসিকতাকে প্রতিভাত করে। আর তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বরের বাবা ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা চরিত্রের প্রতিনিধি।
ঘ) উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না। উদ্দীপকে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার লোভী ও রক্ষণশীল মানসিকতা ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের বরের বাবা ও অনুপমের মামা দুজনেরই কনের বয়স নিয়ে আপত্তি ছিল। যৌতুকের লোভে তারা দুজনই বিয়েতে রাজি হয়। মেয়েদের বিয়ে নিয়ে তৎকালীন সমাজের মানসিকতার উন্মোচন এ গল্পের একটি দিক।
‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল সুর নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠার কাহিনি গল্পের নায়িকা কল্যাণী বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় থমকে যায়নি; বরং তাকে অনুপ্রাণিত করেছে তার স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠিত করতে, গল্পের শেষে আমরা দেখি কল্যাণীর এক নতুন মূর্তি দেশ সেবার ব্রতে কল্যাণী এক অতিমানবী হয়ে আমাদের ভাবতে শেখায়। ‘অপরিচিতা’ গল্পের এ মূল দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
এ গল্পের আরেকটি প্রধান দিক কন্যার বাবা শম্ভুনাথ বাবুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ, শম্ভুনাথ বাবু কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার চিরাচরিত লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে নিজের ও কন্যার আত্মসম্মানকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়টিও উদ্দীপকে প্রতীয়মান হয়নি।
আর তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডিত একটি চিত্রকে ধারণ করলেও সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।