কবিতার ব্যাখ্যাঃ ঐকতান
বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি।
দেশে দেশে কত- না নগর রাজধানী-
মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু,
কত- না অজানা জীব, কত- না অপরিচিত তরু
রয়ে গেল অগোচরে। <<
ব্যাখা:- এই পৃথিবী বিশাল এবং বিপুল আয়তনের। এখানে জানার মত কত্ত কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু তার কতটুকুই বা জানি! দেশে দেশে কতই না শহর-রাজধানী আছে। মানুষের কত কীর্তি, নদী, গিরি (পাহাড়), সিন্ধু (সাগর), মরু (মরুভুমি) ই না আছে এই বিশালাকার পৃথিবীতে! কত অজানা জীব, অপরিচিত গাছপালা এখনো আমার জানার বাহিরেই রয়ে গেল। আমি তার সান্নিধ্য ও পেলাম না।
★>> বিশাল বিশ্বের আয়োজন;
মন মোর জুড়ে থাকে অতি ক্ষুদ্র তারি এক কোণ।
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে
অক্ষয় উৎসাহে - <<
ব্যাখা: এ বিশ্বের আয়োজন বিশাল। কিসের আয়োজন! জানার/জ্ঞান আহরণ করার আয়োজন। কিন্তু, কবির মন তারই ক্ষুদ্র এক কোণ জুড়ে থাকে। অর্থাৎ, কবি এখানে তার জানার সীমাবদ্ধতাটুকু অকপটে প্রকাশ করেছেন। কবি, সেই ক্ষোভে, অর্থাৎ জানার সীমাবদ্ধতার ক্ষোভে বই পড়েন। ভ্রমণকাহিনী পড়েন। অর্থাৎ, কবি হয়ত সকল দেশ, সকল রাজধানী, সকল অজানা কিছু জানতে পারেন নি। এটা তার সীমাবদ্ধতা। কিন্তু, তিনি তার সীমাবদ্ধতাটুকু দূর করার জন্য বই বা ভ্রমণকাহিনী পড়ছেন। যাতে করে, সমস্ত দেশ বা নগর না ঘুরলেও যাতে কবি সব জায়গা থেকে কিছু হলেও জ্ঞানার্জন করতে পারেন।
★>> যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী
কুড়াইয়া আনি।
জ্ঞানের দীনতা এই আপনার মনে
পূরণ করিয়া লই যত পারি ভিক্ষালব্ধ ধনে। <<
ব্যাখা: একটা প্রবাদ আছে। Pictures say thousand words! অর্থাৎ, কোনো কিছুর সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ জানার জন্য, তুমি যদি খালি গৎবাধা লেখা পড়ো, তাহলে তোমার জানাটা স্বল্পস্থায়ী হবে। কিন্তু, বর্ণনাটা যদি চিত্রময়ী হয়, বা যদি ছবির মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়, তবে সেই জানাটা তোমার মনে দাগ কেটে যাবে। কবি এই চিত্রময়ী বর্ণনাগুলোকেই কুড়িয়ে আনেন। কবি আরো বলেছেন, তার জ্ঞানের দীনতা আছে। অর্থাৎ, তিনি জ্ঞানের দিক থেকে গরীব। কিন্তু, তারপর ও তিনি বিভিন্ন সূত্র থেকে জ্ঞান আহরণ করে তার জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
★>> আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত উঠে ধ্বনি
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি, <<
ব্যাখা: কবি নিজেকে পৃথিবীর কবি হিসেবে ঘোষিত করেছেন। এবং বলেছেন, মানুষেরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, কবির বাঁশির সুর [এখানে, কবিতার সুর] সর্বত্রই সাড়া প্রদান করবে।
★>> এই স্বরসাধনায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক -
রয়ে গেছে ফাঁক। <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, কবির কবিতার সূর সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি। কবির চাওয়া, এবং তার কবিতার সুর প্রান্তিক মানুষের পাওয়ার মধ্যে এখনো বিস্তর ব্যবধান বা ফারাক রয়েই গেছে।
★>> প্রকৃতির ঐকতানস্রোতে
নানা কবি ঢালে গান নানা দিক হতে; <<
ব্যাখা: রবিঠাকুর বলেছেন, তার মতই আরো অনেক কবি, বিভিন্ন দিক থেকে কবিতা রচনা করে। এবং সেই কবিতার সূরগুলো পৌঁছে দিতে চায় মানুষদের কাছে।
★>> তাদের সবার সাথে আছে মোর এইমাত্র যোগ-
সঙ্গ পাই সবাকার, লাভ করি আনন্দের ভোগ, <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, ঐ সকল কবির সাথেই রবিঠাকুর এর যোগাযোগ রয়েছে। এবং তাদের সবার সঙ্গ পেয়ে কবি বরং আনন্দিতই হন।
★>> পাই নে সর্বত্র তার প্রবেশের দ্বার,
বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার। <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, রবিঠাকুর চাইলেও সেই সকল কবির সাথে মিশতে পারেন না। কেননা, কবিগুরুর জীবনযাত্রা আর তাদের জীবনযাত্রায় যে এখনও ব্যবধান! এখানে খুব সম্ভবত ধনী-গরীব শ্রেণীর ব্যবধান এর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
★>> চাষি খেতে চালাইছে হাল,
তাঁতি বসে তাঁত বোনে, জেলে ফেলে জাল-
বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার
তারি পরে ভর দিয়ে চলিতেছে সমস্ত সংসার। <<
ব্যাখা: এখানে কবি, সমাজের প্রান্তিক/শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর পেশাকে মর্যাদা দিয়েছেন। এবং বলেছেন, তাদের কাজের উপর নির্ভর করেই সংসার এগিয়ে যাচ্ছে।
★>> অতি ক্ষুদ্র অংশে তার সম্মানের চিরনির্বাসনে
সমাজের উচ্চ মঞ্চে বসেছি সংকীর্ণ বাতায়নে। <<
ব্যাখা: কবি এখানে বলেছেন, তিনি সমাজের উচ্চ মঞ্চে আসন গ্রহন করেছেন। এবং সাধারণ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। ফলে, সেই উঁচু মঞ্চের সংকীর্ণ জানালা দিয়ে সাধারণ মানুষদের এ বড় সমাজটিকে তিনি দেখতে পারেন নি।
★>> মাঝে মাঝে গেছি আমি ও পাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে,
ভিতরে প্রবেশ করি সে শক্তি ছিল না একেবারে। <<
ব্যাখা: কবি মাঝে মাঝে ঐ সকল সাধারণ শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর পাড়ায় উঁকি দিয়েছেন। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের সাথে ভালোভাবে যোগসূত্র রচনা করতে পারেন নি।
★>> জীবনে জীবন যোগ করা
না হলে কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা। <<
ব্যাখা: কবির কবিতা যদি জীবনের সাথে জীবনই যোগ করতে না পারে, অর্থাৎ ধনী-গরীব/উচ্চশ্রেনী-নিম্ন
শ্রেনীর মাঝে অপূর্ব মেলবন্ধনই তৈরি করতে না পারে, তবে সেই কবিতা মূল্যহীন। এসব প্রান্তিক মানুষকে শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনে যোগ্য স্থান দিলেই কেবল সাহিত্যসাধনা পূর্ণতা পায়।
★>> তাই আমি মেনে নিলাম সে নিন্দার কথা
আমার সূরের অপূর্ণতা।
আমার কবিতা, জানি আমি,
গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী। <<
ব্যাখা: কবি নিজের সীমাবদ্ধতাটুকু মেনে নিলেন। অনেকেই কবির নামে নিন্দে করত, যে তিনি শুধু বাবুসাহেব দেরকে নিয়েই সাহিত্য রচনা করেন। কবি সেই নিন্দেটুকুও মেনে নিলেন। কবি নিজেই জানেন, তার কবিতা বিচিত্র পথে গেলেও সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
★>> কৃষাণের জীবনের শরিক যে জন,
কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা করেছে অর্জন, <<
ব্যাখা: কৃষকের জীবনের মত জীবন যে অতিবাহিত করতে পারছে, সে সত্যিই কথায় ও কাজে আত্মীয়তা অর্জন করতে পেরেছে।
আত্মীয়তা? কাদের সাথে আত্মীয়তা?
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে।
★>> এসো কবি অখ্যাতজনের
নির্বাক্ মনের।
মর্মের বেদনা যত করিয়া উদ্ধার- <<
ব্যাখা: বিখ্যাত শব্দের বিপরীত হল অখ্যাত। এখানে, রবিঠাকুর এমন কবিকে আহবান করছেন, যিনি এসব অখ্যাত মানুষদের জীবনকে আবিষ্কার করতে পারবেন। অর্থাৎ, সাধারণ কর্মজীবী মানুষদের জীবনকে কবিতার দ্বারা তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, কবিগুরুর কবিতা সর্বত্রগামী না হওয়ার যে ব্যাথা, সেই মর্মের ব্যাথা উদ্ধার করার জন্য তিনি নতুন কবিকে আহবান করেছেন।
★>> প্রাণহীন এ দেশেতে গানহীন যেথা চারি ধার,
অবজ্ঞার তাপে শুষ্ক নিরানন্দ সেই মরুভুমি
রসে পূর্ণ করি দাও তুমি। <<
ব্যাখা: কবি এখানে বুঝাতে চেয়েছেন, যে সাহিত্যের ভুবন আনন্দহীন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। কারণ, সমাজের শ্রমজীবী মানুষেরা সাহিত্যসভায় উপেক্ষিত। তারা সাহিত্যে স্থান পায়নি। এজন্য কবি আহবান করেছেন নতুন আরেক কবিকে, যিনি এসব শ্রমজীবী মানুষদের স্থান দিবেন সাহিত্যের ভুবনে। এবং সাহিত্যভুবন এর উষরতা (শুষ্কতা) কে রসে পূর্ণ করে দিবেন।
★>> অন্তরে যে উৎস তার আছে আপনারি
তাই তুমি দাও গো উদবারি। <<
ব্যাখা: উদবারি মানে হল, উপরে বা উর্ধ্বে প্রকাশ করা। কবি বলছেন, হে নতুন কবি, তোমার অন্তরে যে রসের উৎস আছে, তা উন্মুক্ত করে দাও।
★<< সাহিত্যের ঐকতানসংগীতসভায়
একতারা যাহাদের তারাও যেন সম্মান পায় - <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, সাহিত্যের সভায়, যেখানে জীবনের সূর যোগ করা হয়, সেখানে যেন অবজ্ঞাত বা উপেক্ষিত মানুষেরাও সম্মান লাভ করে।
★>> মূক যারা দু:খে সুখে,
নতশির স্তব্ধ যারা বিশ্বের সম্মুখে,
ওগো গুণী,
কাছে থেকে দূরে যারা তাহাদের বাণী যেন শুনি। <<
ব্যাখা: কবি বলেছেন, তিনি সেসব লোকেদের বাণী শুনতে চান, যারা কাছে থেকেও দূরে। যারা দু:খ-সুখ সহ্য করা নির্বাক মানুষ। যারা এগিয়ে চলা পৃথিবীতে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না।
দেশে দেশে কত- না নগর রাজধানী-
মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি সিন্ধু মরু,
কত- না অজানা জীব, কত- না অপরিচিত তরু
রয়ে গেল অগোচরে। <<
ব্যাখা:- এই পৃথিবী বিশাল এবং বিপুল আয়তনের। এখানে জানার মত কত্ত কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু তার কতটুকুই বা জানি! দেশে দেশে কতই না শহর-রাজধানী আছে। মানুষের কত কীর্তি, নদী, গিরি (পাহাড়), সিন্ধু (সাগর), মরু (মরুভুমি) ই না আছে এই বিশালাকার পৃথিবীতে! কত অজানা জীব, অপরিচিত গাছপালা এখনো আমার জানার বাহিরেই রয়ে গেল। আমি তার সান্নিধ্য ও পেলাম না।
★>> বিশাল বিশ্বের আয়োজন;
মন মোর জুড়ে থাকে অতি ক্ষুদ্র তারি এক কোণ।
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে
অক্ষয় উৎসাহে - <<
ব্যাখা: এ বিশ্বের আয়োজন বিশাল। কিসের আয়োজন! জানার/জ্ঞান আহরণ করার আয়োজন। কিন্তু, কবির মন তারই ক্ষুদ্র এক কোণ জুড়ে থাকে। অর্থাৎ, কবি এখানে তার জানার সীমাবদ্ধতাটুকু অকপটে প্রকাশ করেছেন। কবি, সেই ক্ষোভে, অর্থাৎ জানার সীমাবদ্ধতার ক্ষোভে বই পড়েন। ভ্রমণকাহিনী পড়েন। অর্থাৎ, কবি হয়ত সকল দেশ, সকল রাজধানী, সকল অজানা কিছু জানতে পারেন নি। এটা তার সীমাবদ্ধতা। কিন্তু, তিনি তার সীমাবদ্ধতাটুকু দূর করার জন্য বই বা ভ্রমণকাহিনী পড়ছেন। যাতে করে, সমস্ত দেশ বা নগর না ঘুরলেও যাতে কবি সব জায়গা থেকে কিছু হলেও জ্ঞানার্জন করতে পারেন।
★>> যেথা পাই চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী
কুড়াইয়া আনি।
জ্ঞানের দীনতা এই আপনার মনে
পূরণ করিয়া লই যত পারি ভিক্ষালব্ধ ধনে। <<
ব্যাখা: একটা প্রবাদ আছে। Pictures say thousand words! অর্থাৎ, কোনো কিছুর সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ জানার জন্য, তুমি যদি খালি গৎবাধা লেখা পড়ো, তাহলে তোমার জানাটা স্বল্পস্থায়ী হবে। কিন্তু, বর্ণনাটা যদি চিত্রময়ী হয়, বা যদি ছবির মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়, তবে সেই জানাটা তোমার মনে দাগ কেটে যাবে। কবি এই চিত্রময়ী বর্ণনাগুলোকেই কুড়িয়ে আনেন। কবি আরো বলেছেন, তার জ্ঞানের দীনতা আছে। অর্থাৎ, তিনি জ্ঞানের দিক থেকে গরীব। কিন্তু, তারপর ও তিনি বিভিন্ন সূত্র থেকে জ্ঞান আহরণ করে তার জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
★>> আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত উঠে ধ্বনি
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনি, <<
ব্যাখা: কবি নিজেকে পৃথিবীর কবি হিসেবে ঘোষিত করেছেন। এবং বলেছেন, মানুষেরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, কবির বাঁশির সুর [এখানে, কবিতার সুর] সর্বত্রই সাড়া প্রদান করবে।
★>> এই স্বরসাধনায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক -
রয়ে গেছে ফাঁক। <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, কবির কবিতার সূর সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি। কবির চাওয়া, এবং তার কবিতার সুর প্রান্তিক মানুষের পাওয়ার মধ্যে এখনো বিস্তর ব্যবধান বা ফারাক রয়েই গেছে।
★>> প্রকৃতির ঐকতানস্রোতে
নানা কবি ঢালে গান নানা দিক হতে; <<
ব্যাখা: রবিঠাকুর বলেছেন, তার মতই আরো অনেক কবি, বিভিন্ন দিক থেকে কবিতা রচনা করে। এবং সেই কবিতার সূরগুলো পৌঁছে দিতে চায় মানুষদের কাছে।
★>> তাদের সবার সাথে আছে মোর এইমাত্র যোগ-
সঙ্গ পাই সবাকার, লাভ করি আনন্দের ভোগ, <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, ঐ সকল কবির সাথেই রবিঠাকুর এর যোগাযোগ রয়েছে। এবং তাদের সবার সঙ্গ পেয়ে কবি বরং আনন্দিতই হন।
★>> পাই নে সর্বত্র তার প্রবেশের দ্বার,
বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার। <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, রবিঠাকুর চাইলেও সেই সকল কবির সাথে মিশতে পারেন না। কেননা, কবিগুরুর জীবনযাত্রা আর তাদের জীবনযাত্রায় যে এখনও ব্যবধান! এখানে খুব সম্ভবত ধনী-গরীব শ্রেণীর ব্যবধান এর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
★>> চাষি খেতে চালাইছে হাল,
তাঁতি বসে তাঁত বোনে, জেলে ফেলে জাল-
বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার
তারি পরে ভর দিয়ে চলিতেছে সমস্ত সংসার। <<
ব্যাখা: এখানে কবি, সমাজের প্রান্তিক/শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর পেশাকে মর্যাদা দিয়েছেন। এবং বলেছেন, তাদের কাজের উপর নির্ভর করেই সংসার এগিয়ে যাচ্ছে।
★>> অতি ক্ষুদ্র অংশে তার সম্মানের চিরনির্বাসনে
সমাজের উচ্চ মঞ্চে বসেছি সংকীর্ণ বাতায়নে। <<
ব্যাখা: কবি এখানে বলেছেন, তিনি সমাজের উচ্চ মঞ্চে আসন গ্রহন করেছেন। এবং সাধারণ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। ফলে, সেই উঁচু মঞ্চের সংকীর্ণ জানালা দিয়ে সাধারণ মানুষদের এ বড় সমাজটিকে তিনি দেখতে পারেন নি।
★>> মাঝে মাঝে গেছি আমি ও পাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে,
ভিতরে প্রবেশ করি সে শক্তি ছিল না একেবারে। <<
ব্যাখা: কবি মাঝে মাঝে ঐ সকল সাধারণ শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর পাড়ায় উঁকি দিয়েছেন। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের সাথে ভালোভাবে যোগসূত্র রচনা করতে পারেন নি।
★>> জীবনে জীবন যোগ করা
না হলে কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা। <<
ব্যাখা: কবির কবিতা যদি জীবনের সাথে জীবনই যোগ করতে না পারে, অর্থাৎ ধনী-গরীব/উচ্চশ্রেনী-নিম্ন
শ্রেনীর মাঝে অপূর্ব মেলবন্ধনই তৈরি করতে না পারে, তবে সেই কবিতা মূল্যহীন। এসব প্রান্তিক মানুষকে শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনে যোগ্য স্থান দিলেই কেবল সাহিত্যসাধনা পূর্ণতা পায়।
★>> তাই আমি মেনে নিলাম সে নিন্দার কথা
আমার সূরের অপূর্ণতা।
আমার কবিতা, জানি আমি,
গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী। <<
ব্যাখা: কবি নিজের সীমাবদ্ধতাটুকু মেনে নিলেন। অনেকেই কবির নামে নিন্দে করত, যে তিনি শুধু বাবুসাহেব দেরকে নিয়েই সাহিত্য রচনা করেন। কবি সেই নিন্দেটুকুও মেনে নিলেন। কবি নিজেই জানেন, তার কবিতা বিচিত্র পথে গেলেও সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
★>> কৃষাণের জীবনের শরিক যে জন,
কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা করেছে অর্জন, <<
ব্যাখা: কৃষকের জীবনের মত জীবন যে অতিবাহিত করতে পারছে, সে সত্যিই কথায় ও কাজে আত্মীয়তা অর্জন করতে পেরেছে।
আত্মীয়তা? কাদের সাথে আত্মীয়তা?
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে।
★>> এসো কবি অখ্যাতজনের
নির্বাক্ মনের।
মর্মের বেদনা যত করিয়া উদ্ধার- <<
ব্যাখা: বিখ্যাত শব্দের বিপরীত হল অখ্যাত। এখানে, রবিঠাকুর এমন কবিকে আহবান করছেন, যিনি এসব অখ্যাত মানুষদের জীবনকে আবিষ্কার করতে পারবেন। অর্থাৎ, সাধারণ কর্মজীবী মানুষদের জীবনকে কবিতার দ্বারা তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, কবিগুরুর কবিতা সর্বত্রগামী না হওয়ার যে ব্যাথা, সেই মর্মের ব্যাথা উদ্ধার করার জন্য তিনি নতুন কবিকে আহবান করেছেন।
★>> প্রাণহীন এ দেশেতে গানহীন যেথা চারি ধার,
অবজ্ঞার তাপে শুষ্ক নিরানন্দ সেই মরুভুমি
রসে পূর্ণ করি দাও তুমি। <<
ব্যাখা: কবি এখানে বুঝাতে চেয়েছেন, যে সাহিত্যের ভুবন আনন্দহীন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। কারণ, সমাজের শ্রমজীবী মানুষেরা সাহিত্যসভায় উপেক্ষিত। তারা সাহিত্যে স্থান পায়নি। এজন্য কবি আহবান করেছেন নতুন আরেক কবিকে, যিনি এসব শ্রমজীবী মানুষদের স্থান দিবেন সাহিত্যের ভুবনে। এবং সাহিত্যভুবন এর উষরতা (শুষ্কতা) কে রসে পূর্ণ করে দিবেন।
★>> অন্তরে যে উৎস তার আছে আপনারি
তাই তুমি দাও গো উদবারি। <<
ব্যাখা: উদবারি মানে হল, উপরে বা উর্ধ্বে প্রকাশ করা। কবি বলছেন, হে নতুন কবি, তোমার অন্তরে যে রসের উৎস আছে, তা উন্মুক্ত করে দাও।
★<< সাহিত্যের ঐকতানসংগীতসভায়
একতারা যাহাদের তারাও যেন সম্মান পায় - <<
ব্যাখা: অর্থাৎ, সাহিত্যের সভায়, যেখানে জীবনের সূর যোগ করা হয়, সেখানে যেন অবজ্ঞাত বা উপেক্ষিত মানুষেরাও সম্মান লাভ করে।
★>> মূক যারা দু:খে সুখে,
নতশির স্তব্ধ যারা বিশ্বের সম্মুখে,
ওগো গুণী,
কাছে থেকে দূরে যারা তাহাদের বাণী যেন শুনি। <<
ব্যাখা: কবি বলেছেন, তিনি সেসব লোকেদের বাণী শুনতে চান, যারা কাছে থেকেও দূরে। যারা দু:খ-সুখ সহ্য করা নির্বাক মানুষ। যারা এগিয়ে চলা পৃথিবীতে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না।
কবিতার মূলভাব
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে প্রজ্ঞাবান কবি রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্য সাধনার ব্যর্থতা সাফল্যের হিসেব নিকেষ করতে বসেছেন। তিনি অকপটে নিজের সাহিত্য সাধনার সীমাবদ্ধতা ও অপূর্ণতার কথা প্রকাশ করেছেন-যা রবীন্দ্র নাথের পক্ষেই শুধু সম্ভব। জীবন-মৃত্যুর নোম্যান্স ল্যাণ্ডে দাঁড়িয়ে কবি অনুভব করেছেন নিজের সংকীর্ণতা ও ব্যর্থতার স্বরূপ। কবি হৃদয় দিয়ে উপলদ্ধি করেছেন এই পৃথিবীর অনেক কিছুই তাঁর অজানা ও অদেখা রয়েগেছে। এ পৃথিবীর আয়োজন বিস্তৃত বিশাল। অথচ এ বিশাল পৃথিবীর ক্ষুদ্র এক কোণ জুড়ে ছিল তার মন। তাঁর জ্ঞানের দীনতা ছিল বলেই তিনি তা সমৃদ্ধ করার জন্য দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রন্থের। বিভিন্নগ্রন্থ থেকে তাই তিনি ‘চিত্রময় বর্ণনার বাণী কবি ভিক্ষালব্ধ ধনের মতো’ সযতনে আহরণ করে তার কবিতাকে করেছে ঋদ্ধ। তবু এ-বিশাল পৃথিবীর সর্বত্র তিনি প্রবেশ-দ্বার তিনি খুঁজে পান নি। সভ্যতা ভর করে চলছে শ্রমজীবী মানুষের উপর। কিন্তু কবি এদের পাশাপাশি কোনো দিন যান নি। এদের থেকে দূরে সমাজের একটি উচ্চ আসনে বসেছিলেন কবি, সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে।
সেখানে বসে যে-জগৎজীবন তিনি দেখে ছিলেন, তা ছিল খণ্ডিত তথা অপূর্ণ। অথচ কবি আজ মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করেছেন ক্ষুদ্র জীবনের সঙ্গে বৃহৎ মানব-জীবনের ঐকতানসৃষ্টি করতে না পারলে শিল্পীর গানের পশরা তথা সৃষ্টিসম্ভার ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়। কবি মনে করেন বিচিত্র হরেও সর্বত্রগামী হতে পারে নি। আর এ-কারণে জীবন সায়াহ্ণে এসে রবীন্দ্রনাথঠাকুর মৃত্তিকা সংলগ্ন কবির প্রত্যাশা করেছেন। যিনি শ্রমজীবী মানুষের অংশীদার হবেন, সত্য আর কর্মের মধ্যে গড়বেন আত্মীয়তার বন্ধন।
সেখানে বসে যে-জগৎজীবন তিনি দেখে ছিলেন, তা ছিল খণ্ডিত তথা অপূর্ণ। অথচ কবি আজ মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করেছেন ক্ষুদ্র জীবনের সঙ্গে বৃহৎ মানব-জীবনের ঐকতানসৃষ্টি করতে না পারলে শিল্পীর গানের পশরা তথা সৃষ্টিসম্ভার ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়। কবি মনে করেন বিচিত্র হরেও সর্বত্রগামী হতে পারে নি। আর এ-কারণে জীবন সায়াহ্ণে এসে রবীন্দ্রনাথঠাকুর মৃত্তিকা সংলগ্ন কবির প্রত্যাশা করেছেন। যিনি শ্রমজীবী মানুষের অংশীদার হবেন, সত্য আর কর্মের মধ্যে গড়বেন আত্মীয়তার বন্ধন।
অনুধাবন মূলক প্রশ্ন
১.ঐকতান কবিতার চরণ সংখ্যা -৫৪
২. ঐকতান কবিতার স্তবক সংখ্যা -৪
৩. কবির মন জুড়ে আছে- বিশাল বিশ্বের ক্ষুদ্র এক কোণে
৪. কবি অক্ষয় উৎসাহে পড়েন -ভ্রমণবৃত্তান্ত গ্রন্থ
৫. কবি কুড়িয়ে আনেন - চিএময়ী বর্ণনার বাণী
৬.কবি তার জ্ঞানের দীনতা পূরণ করে নেন - ভিক্ষালব্ধ ধনে
৭. "ঐকতান "কবিতায় কবি নিজেকে উল্লেখ করেছেন - পৃথিবীর কবি হিসেবে।
৮.বিভিন্ন কবিরা নানাদিক থেকে গান ঢালে - প্রকৃতির ঐকতানস্রোতে
৯. শ্রমজীবী মানুষের বিচিত্র কর্মভারে ভর দিয়ে চলছে- সমস্ত সংসার
১০. কবি সমাজের উচ্চ আসনে বসেছেন - সংকীর্ণ বাতায়নে
১১. কবি ওপাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে গিয়েছেন - মাঝে মাঝে
১২. গানের পসরা ব্যর্থ হয় - কৃিএম পণ্যে
১৩. কবির কবিতা বিচিত্র পথে অগ্রসর হলেও হয়নি- সর্বএগামী
১৪. "ঐকতান "কবিতার কবি কোন কবির বাণী শুনতে পান- যে কবি আছেন মাটির কাছাকাছি
১৫. কবি আহ্বান করেন- অখ্যাত জনের নির্বাক মনের কবিকে
১৬. কবি এদেশকে বলেন প্রাণহীন
১৭. কবি এদেশের চার ধারকে বলেন - গানহীন
১৮. একতারা যাদের আছে তারাও যেন সম্মান পায়- সাহিত্যের ঐকতান সংগীত সভায়
২. ঐকতান কবিতার স্তবক সংখ্যা -৪
৩. কবির মন জুড়ে আছে- বিশাল বিশ্বের ক্ষুদ্র এক কোণে
৪. কবি অক্ষয় উৎসাহে পড়েন -ভ্রমণবৃত্তান্ত গ্রন্থ
৫. কবি কুড়িয়ে আনেন - চিএময়ী বর্ণনার বাণী
৬.কবি তার জ্ঞানের দীনতা পূরণ করে নেন - ভিক্ষালব্ধ ধনে
৭. "ঐকতান "কবিতায় কবি নিজেকে উল্লেখ করেছেন - পৃথিবীর কবি হিসেবে।
৮.বিভিন্ন কবিরা নানাদিক থেকে গান ঢালে - প্রকৃতির ঐকতানস্রোতে
৯. শ্রমজীবী মানুষের বিচিত্র কর্মভারে ভর দিয়ে চলছে- সমস্ত সংসার
১০. কবি সমাজের উচ্চ আসনে বসেছেন - সংকীর্ণ বাতায়নে
১১. কবি ওপাড়ার প্রাঙ্গণের ধারে গিয়েছেন - মাঝে মাঝে
১২. গানের পসরা ব্যর্থ হয় - কৃিএম পণ্যে
১৩. কবির কবিতা বিচিত্র পথে অগ্রসর হলেও হয়নি- সর্বএগামী
১৪. "ঐকতান "কবিতার কবি কোন কবির বাণী শুনতে পান- যে কবি আছেন মাটির কাছাকাছি
১৫. কবি আহ্বান করেন- অখ্যাত জনের নির্বাক মনের কবিকে
১৬. কবি এদেশকে বলেন প্রাণহীন
১৭. কবি এদেশের চার ধারকে বলেন - গানহীন
১৮. একতারা যাদের আছে তারাও যেন সম্মান পায়- সাহিত্যের ঐকতান সংগীত সভায়
ঐকতান কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১। উদ্দীপকে ‘ঐকতান’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে—
i. শ্রমজীবীদের উপেক্ষা
ii. সাহিত্যের সভায় ব্রাত্যজনদের অবজ্ঞা
iii. শ্রমিক শ্রেণি সম্মানবঞ্চিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
রসুলপুর গ্রামের ভেন্না (ভেরেণ্ডা) পাতার ছাউনিতে বাস করা হতদরিদ্র আসমানি ছিল কবি জসীমউদ্দীনের কবিতার প্রধান চরিত্র ও বিষয়।
২। উদ্দীপকের কবি জসীমউদ্দীনের মধ্যে ‘ঐকতান’ কবিতার কবির আহ্বানকৃত যে বৈশিষ্ট্য রূপায়িত—
i. অখ্যাতজনের কবি
ii. নির্বাক মনের কবি
iii. মাটির কাছাকাছি কবি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৩। উদ্দীপকের আসমানি ‘ঐকতান’ কবিতার কোন শ্রেণিকে নির্দেশ করে?
ক. প্রান্তিক শ্রেণি
খ. মধ্যবিত্ত শ্রেণি
গ. উচ্চবিত্ত শ্রেণি
ঘ. ধনিক শ্রেণি
৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সাল কোনটি?
ক. ১৮৪১
খ. ১৮৫১
গ. ১৮৬১
ঘ. ১৮৭১
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কী?
ক. কুসুমকুমারী
খ. অনিলা দেবী
গ. সারদা দেবী
ঘ. স্বপ্নাদেবী
৬। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞানের দীনতা দূরীকরণে কী ধরনের গ্রন্থ পড়েন?
ক. উপন্যাস
খ. গল্প
গ. ভ্রমণবৃত্তান্ত
ঘ. কাব্য
৭। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবার সঙ্গে সঙ্গ পেলে কী লাভ করেন?
ক. সম্মান
খ. অর্থবিত্ত
গ. সাহায্য
ঘ. আনন্দ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি
শোনো নাই
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
৮। উক্ত কবিতার ভাববস্তু তোমার পঠিত কোন কবিতায় প্রতিফলিত?
ক. ঐকতান
খ. সেই অস্ত্র
গ. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
ঘ. লোক-লোকান্তর
৯। উদ্দীপকের ভাবনা কবি ভাবনায় যে বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে—
i. প্রান্তিক শ্রেণিকে সাহিত্যে স্থান দান
ii. অন্ত্যজ শ্রেণির সুখ-দুঃখ সাহিত্যে প্রতিফলন
iii. সাহিত্যে শ্রমিক শ্রেণিকে মর্যাদা দান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
১০। বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার—পঙিতটিতে এদের বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. শ্রমজীবী
খ. ধনিক শ্রেণি
গ. দরিদ্র শ্রেণি
ঘ. পুঁজিবাদী শ্রেণি
১১। কে প্রকৃতির ঐকতান-স্রোতে প্রবেশদ্বার খুঁজে পায় না?
ক. কবি
খ. জেলে
গ. চাষি
ঘ. কৃষক
১২। সাধারণ মানুষের পায়ে ভর দিয়ে কী চলে?
ক. পৃথিবী
খ. সমাজ
গ. সংসার
ঘ. জগৎ
১৩। ‘জ্ঞানের দীনতা’ কোথায়?
ক. নয়নে
খ. কবিতায়
গ. মনে
ঘ. জীবনে
১৪। ‘বিপুলা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. বিশাল প্রশস্ত
খ. বিশ্বস্ত
গ. প্রশস্ত
ঘ. দীর্ঘকায়
১৫। ‘ঐকতান’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জন্মদিন’ কাব্যগ্রন্থের কতসংখ্যক কবিতা?
ক. অষ্টম
খ. নবম
গ. দশম
ঘ. ১১তম
১৬। ‘জন্মদিনে’ কাব্যগ্রন্থটি কত বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়?
ক. ১৩৪৮
খ. ১৩৫২
গ. ১৩৩৯
ঘ. ১৩৫৪
১৭। ‘ঐকতান’ কবিতার কবি কী মেনে নেন?
ক. অপূর্ণতা
খ. নিন্দার কথা
গ. পূর্ণতা
ঘ. সর্বত্রগামিতা
১৮। ‘ঐকতান’ কবিতায় কবি কী মেনে নেন?
ক. সাধনা
খ. ভবিষ্যতের কথ
গ. কবিতা
ঘ. জীবন
১৯। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আনন্দ লাভের জন্য কী খুঁজে পান না?
ক. পথ
খ. উপায়
গ. সাহায্য
ঘ. প্রবেশদ্বার
২০। সবার সঙ্গে কার যোগ আছে?
ক. প্রকৃতির
খ. জীবনের
গ. কবির
ঘ. সমুদ্রের
২১। ‘ঐকতান’ কবিতার কবির জীবনযাত্রায় কী বাধা হয়ে আছে?
ক. নিস্তব্ধক্ষণ
খ. স্বর সাধনা
গ. বেড়াগুলো
ঘ. কর্মভার
২২। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উচ্চ মঞ্চে কিভাবে বসে আছেন?
ক. সুখে
খ. উল্লাসে
গ. সংকীর্ণ বাতায়নে
ঘ. গৌরবে
২৩। নানা কবি ঢালে গান—এখানে গান বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সংগীত
খ. কবিতা
গ. সৃষ্টি
ঘ. সুর
২৪। নিন্দার কথা বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সংকীর্ণতা
খ. বিচিত্র কর্মভার
গ. স্বর সাধনা
ঘ. বর্ণনার বাণী
২৫। ‘ঐকতান’ বলতে বোঝায়—
ক. অমিলিত সুর
খ. একের সুর
গ. সম্মিলিত সুর
ঘ. জীবনের সুর
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও : ১. ঘ ২. ঘ ৩. ক ৪. গ ৫. গ ৬. গ ৭. ঘ ৮. ক ৯. ঘ ১০. ক ১১. ঘ ১২. গ ১৩. গ ১৪. ক ১৫. গ ১৬. ক ১৭. খ ১৮. গ ১৯. ঘ ২০. গ ২১. গ ২২. গ ২৩. খ ২৪. ক ২৫. গ
i. শ্রমজীবীদের উপেক্ষা
ii. সাহিত্যের সভায় ব্রাত্যজনদের অবজ্ঞা
iii. শ্রমিক শ্রেণি সম্মানবঞ্চিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
রসুলপুর গ্রামের ভেন্না (ভেরেণ্ডা) পাতার ছাউনিতে বাস করা হতদরিদ্র আসমানি ছিল কবি জসীমউদ্দীনের কবিতার প্রধান চরিত্র ও বিষয়।
২। উদ্দীপকের কবি জসীমউদ্দীনের মধ্যে ‘ঐকতান’ কবিতার কবির আহ্বানকৃত যে বৈশিষ্ট্য রূপায়িত—
i. অখ্যাতজনের কবি
ii. নির্বাক মনের কবি
iii. মাটির কাছাকাছি কবি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৩। উদ্দীপকের আসমানি ‘ঐকতান’ কবিতার কোন শ্রেণিকে নির্দেশ করে?
ক. প্রান্তিক শ্রেণি
খ. মধ্যবিত্ত শ্রেণি
গ. উচ্চবিত্ত শ্রেণি
ঘ. ধনিক শ্রেণি
৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সাল কোনটি?
ক. ১৮৪১
খ. ১৮৫১
গ. ১৮৬১
ঘ. ১৮৭১
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কী?
ক. কুসুমকুমারী
খ. অনিলা দেবী
গ. সারদা দেবী
ঘ. স্বপ্নাদেবী
৬। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞানের দীনতা দূরীকরণে কী ধরনের গ্রন্থ পড়েন?
ক. উপন্যাস
খ. গল্প
গ. ভ্রমণবৃত্তান্ত
ঘ. কাব্য
৭। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবার সঙ্গে সঙ্গ পেলে কী লাভ করেন?
ক. সম্মান
খ. অর্থবিত্ত
গ. সাহায্য
ঘ. আনন্দ
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি
শোনো নাই
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
৮। উক্ত কবিতার ভাববস্তু তোমার পঠিত কোন কবিতায় প্রতিফলিত?
ক. ঐকতান
খ. সেই অস্ত্র
গ. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
ঘ. লোক-লোকান্তর
৯। উদ্দীপকের ভাবনা কবি ভাবনায় যে বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে—
i. প্রান্তিক শ্রেণিকে সাহিত্যে স্থান দান
ii. অন্ত্যজ শ্রেণির সুখ-দুঃখ সাহিত্যে প্রতিফলন
iii. সাহিত্যে শ্রমিক শ্রেণিকে মর্যাদা দান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
১০। বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার—পঙিতটিতে এদের বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. শ্রমজীবী
খ. ধনিক শ্রেণি
গ. দরিদ্র শ্রেণি
ঘ. পুঁজিবাদী শ্রেণি
১১। কে প্রকৃতির ঐকতান-স্রোতে প্রবেশদ্বার খুঁজে পায় না?
ক. কবি
খ. জেলে
গ. চাষি
ঘ. কৃষক
১২। সাধারণ মানুষের পায়ে ভর দিয়ে কী চলে?
ক. পৃথিবী
খ. সমাজ
গ. সংসার
ঘ. জগৎ
১৩। ‘জ্ঞানের দীনতা’ কোথায়?
ক. নয়নে
খ. কবিতায়
গ. মনে
ঘ. জীবনে
১৪। ‘বিপুলা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. বিশাল প্রশস্ত
খ. বিশ্বস্ত
গ. প্রশস্ত
ঘ. দীর্ঘকায়
১৫। ‘ঐকতান’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জন্মদিন’ কাব্যগ্রন্থের কতসংখ্যক কবিতা?
ক. অষ্টম
খ. নবম
গ. দশম
ঘ. ১১তম
১৬। ‘জন্মদিনে’ কাব্যগ্রন্থটি কত বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়?
ক. ১৩৪৮
খ. ১৩৫২
গ. ১৩৩৯
ঘ. ১৩৫৪
১৭। ‘ঐকতান’ কবিতার কবি কী মেনে নেন?
ক. অপূর্ণতা
খ. নিন্দার কথা
গ. পূর্ণতা
ঘ. সর্বত্রগামিতা
১৮। ‘ঐকতান’ কবিতায় কবি কী মেনে নেন?
ক. সাধনা
খ. ভবিষ্যতের কথ
গ. কবিতা
ঘ. জীবন
১৯। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আনন্দ লাভের জন্য কী খুঁজে পান না?
ক. পথ
খ. উপায়
গ. সাহায্য
ঘ. প্রবেশদ্বার
২০। সবার সঙ্গে কার যোগ আছে?
ক. প্রকৃতির
খ. জীবনের
গ. কবির
ঘ. সমুদ্রের
২১। ‘ঐকতান’ কবিতার কবির জীবনযাত্রায় কী বাধা হয়ে আছে?
ক. নিস্তব্ধক্ষণ
খ. স্বর সাধনা
গ. বেড়াগুলো
ঘ. কর্মভার
২২। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উচ্চ মঞ্চে কিভাবে বসে আছেন?
ক. সুখে
খ. উল্লাসে
গ. সংকীর্ণ বাতায়নে
ঘ. গৌরবে
২৩। নানা কবি ঢালে গান—এখানে গান বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সংগীত
খ. কবিতা
গ. সৃষ্টি
ঘ. সুর
২৪। নিন্দার কথা বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সংকীর্ণতা
খ. বিচিত্র কর্মভার
গ. স্বর সাধনা
ঘ. বর্ণনার বাণী
২৫। ‘ঐকতান’ বলতে বোঝায়—
ক. অমিলিত সুর
খ. একের সুর
গ. সম্মিলিত সুর
ঘ. জীবনের সুর
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও : ১. ঘ ২. ঘ ৩. ক ৪. গ ৫. গ ৬. গ ৭. ঘ ৮. ক ৯. ঘ ১০. ক ১১. ঘ ১২. গ ১৩. গ ১৪. ক ১৫. গ ১৬. ক ১৭. খ ১৮. গ ১৯. ঘ ২০. গ ২১. গ ২২. গ ২৩. খ ২৪. ক ২৫. গ
No comments:
Post a Comment