Gallery

Breaking

Thursday 2 January 2020

সমাস

 সমাস কাকে বলে ? উহা কত প্রকার ও কি কি ?
উত্তর: পরস্পর অর্থসংগতি যুক্ত দুই বা ততোধিক পদ এক পদ হওয়াকে সমাস বলে।
যেমনঃ লেখপড়া= লেখা ও পড়া।
সমাসের শ্রেণী বিভাগঃ সমাস প্রধানত : ছয় প্রকার।
যেমনঃ ১। দ্বন্দ্ব সমাস ২। তৎপুরুষ সমাস ৩। বহুব্রীহি সমাস
৪। কর্মধারয় সমাস ৫। অব্যয়ী ভাব সমাস ৬। দ্বিগু সমাস


১.দ্বন্দ্ব সমাস:-


যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে এবং ব্যাসবাক্যে একটি সংযোজক অব্যয়(কখনো বিয়োজক)দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
দ্বন্দ্ব সমাস আট প্রকার:
১. সমার্থক দ্বন্দ্ব: কাজ-কর্ম-- কাজ ও কর্ম
২. বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব: দিন-রাত-- দিন ও রাত
৩.বিকল্পর্থক দ্বন্দ্ব: হার-জিৎ-- হার অথবা জিৎ
৪.সমাহার দ্বন্দ্ব: দুধ- কলা-- দুধ ও কলা।
৫.মিলনার্থক দ্বন্দ্ব: চাল-ডাল--চাল ও ডাল।
৬.অলোপ দ্বন্দ্ব: কাগজে-কলমে--কাগজে ও কলমে
৭.বহুপদী দ্বন্দ্ব: রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ-- রূপ,রস,গন্ধ,স্পর্শ।
৮.একশেষ দ্বন্দ্ব: আমরা-- আমি,তুমি, সে




১. দ্বন্দ্ব সমাস চেনার উপায়: -


ক) পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ স্বাধীন হবে ।
খ) বিভক্তি সমান থাকবে ।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম –পূর্বপদ + ও + পরপদ
উদাহরণ
কুশীলব = কুশ ও লব
দম্পতি = জায়া ও পতি
আমরা = তুমি, আমি ও সে
জন মানব = জন ও মানব
সত্যাসত্য = সত্য ও অসত্য
ক্ষুৎপিপাসা = ক্ষুধা ও পিপাসা
হিতাহিত = হিত ও অহিত
অহি নকুল = অহি ও নকুল
তরু লতা = তরু ও লতা
সাত সতের = সাত ও সতের
লাভালাভ = লাভ ও অলাভ  



 অলুক দ্বন্দ্ব সমাস :-
চেনার উপায় –ক) পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ স্বাধীন হবে ।
খ) উভয় পদে ৭মী (এ ) বিভক্তি থাকবে ।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম –পূর্বপদ + ও + পরপদ
উদাহরণ
দুধে ভাতে =দুধে ও ভাতে
ঘরে বাইরে = ঘরে ও বাইরে
দেশে বিদেশে = দেশে ও বিদেশে
বনে বাদাড়ে = বনে ও বাদাড়ে
কেটে -ছিড়েঁ = কেটে ও ছিঁড়ে
কোলেপিঠে = কোলে ও পিঠে
তেলেবেগুনে = তেলে ও বেগুনে
পথে-প্রান্তরে = পথে ও প্রান্তরে
বনেবাদাড়ে = বানে ও বাদাড়ে
হাতেকলমে =হাতে ও কলমে
হাতে-পায়ে =হাতে ও পায়ে 



বহুপদী দ্বন্দ সমাস :
কাক-ছিল-মাছরাঙ্গা = কাক,চিল ও মাছরাঙ্গা
গঙ্গা-যমুনা -মেঘন্ = গঙ্গা,যমুনা ও মেঘনা

একশেষ দ্বন্দ সমাস :-
আমরা = সে তুমি ও আমি ( সি,২০৪/রা-০৫/কু-০৭ )
তোমরা = সে ও তুমি



২.বহুব্রীহি সমাস:-
যে সমাসের পূর্বপদ ও পরপদ কারো অর্থ প্রাধান্য পায় না , সম্পূর্ণ তৃতীয় একটি অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
প্রধানত বহুব্রীহি সমাস সাত প্রকার:
১/ সমানাধিকরন বহুব্রীহি: দশানন--দশ আনন যার
২/ ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি: পাপমতি-- পাপে মতি যার
৩/ মধ্যপদোলোপি বহুব্রীহি: বিরালাক্ষী-- বিড়ালের অক্ষির মতো অক্ষি যার
৪/ অলোপ বহুব্রীহি: মুখেভাত-- মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে।
৫/ ব্যাতিহার বহুব্রীহি: লাঠালাঠি-- লাঠিতে লাঠিতে লড়াই।
৬/ না বহুব্রীহি: নির্বাক-- নেই বাক যার।
৭/সহার্থক বহুব্রীহি: সবাক-- বাকের সহিত বর্তমান



৩.কর্মধারয় সমাস:
বিশেষ্যের সাথে বিশেষণের সমাসকে কর্মধারয় সমাস বলে। যথাঃ নীল যে উৎপল = নীলোৎপল। কর্মধারয় সমাসে উত্তর পদের অর্থ প্রধান হয়।

কর্মধারয় সমাস প্রধানত পাঁচ প্রকার। যথাঃ-
(১) সাধারণ কর্মধারয়: বিশেষণ ও বিশেষ‍্য, বিশেষ‍্য ও বিশেষ‍্য অথবা বিশেষণ ও বিশেষণ পদের মধ‍্যে এই সমাস হয়ে থাকে। যেমন, নীল যে আকাশ=নীলাকাশ।
(২) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাসে কোন কোন স্থানে মধ্যপদের লোপ হয়। সেজন্যেই একে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যথা: হিমালয় নামক পবর্ত = হিমালয়পবর্ত। এখানে ‘নামক’ মধ্যপদের লোপ হয়েছে।
(৩)উপমিত কর্মধারয় সমাস
সমান ধর্মবাচক পদের প্রয়োগ না থাকলে উপমেয় ও উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: মুখ চন্দ্রসদৃশ = মুখচন্দ্র।
(৪)রূপক কর্মধারয় সমাস
উপমেয় পদে উপমানের আরোপ করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদে রূপ শব্দের যোগ থাকে। যেমন: বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘রূপ’ শব্দের যোগ রয়েছে।
(৫)উপমান কর্মধারয় সমাস
উপমানবাচক পদের সাথে সমান ধর্মবাচক পদের মিলনে যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: শশের (খরগোশের) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।


৪.তৎপুরুষ সমাস:-
দ্বিতীয়াদি বিভক্তান্ত পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। এতে উত্তরপদের অর্থ প্রাধান্য থাকে। যেমনঃ লবণ দ্বারা অক্ত (যুক্ত) = লবণাক্ত। "'তৎপুরুষ"' শব্দটির অর্থ হল "তার পুরুষ"। তার পুরুষ এই শব্দ গুলির একপদীকরণে তৎপুরুষ শব্দটির সৃষ্টি হয়েছে। এখানে পূর্ব পদ থেকে সম্বন্ধ পদের বিভক্তি 'র' লোপ পেয়েছে ও উত্তর পদের অর্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। এইভাবে এই সমাসের অধিকাংশ উদাহরণে পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পায় ও উত্তর পদের অর্থ প্রাধান্য থাকে এবং তৎপুরুষ শব্দটি হল এই রীতিতে নিষ্পন্ন সমাষের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ।তাই উদাহরণের নামেই এর সাধারণ নামকরণ করা হয়েছে তৎপুরুষ সমাস।



৪.তৎপুরুষ সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ-

(১)দ্বিতীয়া-তৎপুরুষ দ্বিতীয়া-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে দ্বিতীয়া-তৎপুরুষ বলে।
যেমনঃ স্বর্গকে গত = স্বর্গগত।
(২)তৃতীয়া-তৎপুরুষ তৃতীয়া-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে তৃতীয়া-তৎপুরুষ বলে।
যেমনঃ রজ্জু দ্বারা বন্ধ = রজ্জুবন্ধ।
(৩)চতুর্থী-তৎপুরুষ চতুর্থী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে চতুর্থী-তৎপুরুষ বলে।
যেমনঃ যজ্ঞের নিমিত্ত ভূমি = যজ্ঞভূমি।
(৪)পঞ্চমী-তৎপুরুষ পঞ্চমী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে পঞ্চমী-তৎপুরুষ বলে।
যেমনঃ মুখ হইতে ভ্রষ্ট = মুখভ্রষ্ট।
(৫)ষষ্ঠী-তৎপুরুষ ষষ্ঠী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে ষষ্ঠী-তৎপুরুষ বলে।
যেমনঃ দীনের বন্ধু = দনবন্ধু।
(৬)সপ্তমী-তৎপুরুষ সপ্তমী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে সপ্তমী-তৎপুরুষ বলে।
যেমনঃ দিবাতে নিদ্রা = দিবানিদ্রা। এছাড়াও, নঞ্ অব্যয় পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে নঞ্তৎপুরুষ বলে।
যেমনঃ ন উক্ত = অনুক্ত।



৪.তৎপুরুষ সমাসঃ চেনার উপায়:–

ক) পূর্বপদে বিভক্তি আসবে ।
খ) বিভক্তি অনুসারে তৎপুরুষ সমাসের নাম হবে।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – (পূর্বপদ+ বিভক্তি) + পরপদ
বিভক্তিসমূহ
–২য়া – কে , রে
৩য়া – দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক
৪ র্থী – কে, রে, তরে , জন্য , নিমিত্ত , ব্যাপিয়া
৫ মী – হতে , থেকে , চেয়ে
৬ ষ্ঠী – র , এর
৭মী – এ , য় , তে
উদাহরণ
শরনিক্ষেপ= শরকে নিক্ষেপ – ২য়া তৎপুরুষ সমাস
অতিথিসৎকার= অতিথিকে সৎকার – ২য়া তৎপুরুষ সমাস
তপোবন= তপের নিমিত্ত বন – ৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
মুখভ্রষ্ট= মুখ হতে ভ্রষ্ট – ৫মী তৎপুরুষ সমাস
উপলখন্ড= উপলের খন্ড – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
জলসেচন= জলকে সেচন – ৩য়া তৎপুরুষ সমাস
অঙ্গুলিসংকেত= অঙ্গুলি দ্বারা সংকেত – ৩য়া তৎপুরুষ সমাস
মেঘলুপ্ত=মেঘ দ্বারা লুপ্ত – ৩য়া তৎপুরুষ সমাস
মার্তন্ডপ্রায়= মার্তন্ডের প্রায় – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ
সলিলসমাধি= সলিলে সমাধি – ৭মী তৎপুরুষ সমাস
পুষ্প সৌরভ= পুষ্পের সৌরভ – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
জীবনসঞ্চার= জীবনের সঞ্চার – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
রান্নাঘর= রান্নার ঘর – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
সন্ধ্যাপ্রদীপ= সন্ধ্যার প্রদীপ – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
গৃহকর্ত্রী= গৃেহর কর্ত্রী – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
বাকবিতণ্ডা = বাক দ্বারা বিতণ্ডা – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
যৌবনবেগ = যৌবনের বেগ – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
মরুকবি = মরুর কবি – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
কূপমন্ডুক = কূপের মন্ডুক – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
গরলপিয়ালা = গরলের পিয়ালা – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
সিন্ধুনীর = সিন্ধুর নীর – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
আম কুড়ানো = আমকে কুড়ানো –২য়া তৎপুরুষ সমাস
জীবনআবেগ = জীবনের আবেগ – ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস



৫.দ্বিগু সমাস:-
তদ্ধিতার্থে, উত্তরপদ পরে ও সমাহার বুঝালে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
চেনার উপায় –
ক) পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকবে।
খ) পরপদে বিশেষ্য থাকবে।
গ) সমস্তপদের অর্থ হবে সমষ্টি বা সমাহার।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম –পূর্বপদ + ও + পরপদ
উদাহরণ
তেপান্তর = তে (তিন) প্রান্তরের সমাহার
সেতার = সে (তিন ) তারের সমাহার
ত্রিফলা = ত্রি (তিন) ফলের সমাহার
নবরত্ন = নব (নয়) রত্নের সমাহার
পঞ্চবটী = পঞ্চ (পাঁচ) বটের সমাহার
পঞ্চনদ =পঞ্চ ( পাঁচ ) নদীর সমাহার
পশুরী = পাঁচ সেরের সমাহার
সপ্তর্ষি = সপ্ত (সাত) ঋষির সমাহার
সপ্তাহ = সপ্ত (সাত ) অহের সমাহার
শতাব্দী = শত অব্দের সমাহার
ষড়ভুজ = ষড় (ছয়) ভুজের সমাহার




৬. অব্যয়ীভাব সমাস:-
অব্যয় পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং যাতে পূর্ব পদের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমনঃ আত্মাকে অধি (অধিকার করিয়া) = অধ্যাত্ম।




দ্বন্দ সমাস

একনজরে সকল বোর্ডের [১৭ বছরের] সমাস নির্ণয়‘র বর্ণনুক্রমিক উত্তর
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
অত্যাচার-অবিচার অত্যাচার ও অবিচার
আজকাল আজ ও কাল
উত্তরোত্তর উত্তর ও উত্তর
অহিনকুল অহি ও নকুল
আচার-আচরণ আচার ও আচরণ
জনমানব জন ও মানব
দম্পতি জায়া ও পতি
দাকুমড়া দা ও কুমড়া
দেওয়া-নেওয়া দেওয়া ও নেওয়া
দেখা-শোনা দেখা ও শোনা
দোয়াত কলম দোয়াত ও কলম
পথেঘাটে পথে ও ঘাটে
ভরণপোষণ ভরণ ও পোষণ
ভলোমন্দ ভালো মন্দ
মরাবাঁচা মরা ও বাঁচা
রক্তমাংস রক্ত ও মাংস
লেনদেন লেন ও দেন
শীতাতপ শীত ও আতপ
সত্যাসত্য সত্য ও অসত্য
( অলুক দ্বন্দ সমাস )
পথে -প্রন্তরে পথে ও প্রান্তরে
দুধেভাতে দুধে ও ভাতে
বনেবাদাড়ে বনে ও বাদাড়ে
সাপে-নেউলে সাপে ও নেউলে
হাতে-পায়ে হাতে ও পায়ে
( এক শেষ দ্বন্দ ) .
আমরা সে,তুমি ও আমি


দ্বিগু সমাস:-
দ্বিগু সমাস:-যে সমাসে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে বসে সমাহার বোঝায় এবং পরপদের অর্থই প্রাধান্য পায় তাকে দ্বিগু সমাস বলে যেমন: নব রত্নের সামহার =নবরত্ন সপ্ত অহের সমাহর =সপ্তাহ ইত্যাতি
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
তেমাথা তে (তিন)মাথার সমাহার
চৌমুহনী চৌ (চার)মোহনার সমাহার
ত্রিজগৎ ত্রি (তিন)জগতের সমাহার
ত্রিপদী তিন পদের সমাহর
ত্রিফলা ত্রি (তিন) ফলের সমাহর
ত্রিভুজ ত্রি (তিন) ভুজের সমাহর


তৎপুরুষ সমাস :-
(দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস ) :-
প্রদত্তশব্দ ব্যাসবাক্য
আমকুড়ানো আমকে কুড়ানো
চিরসুখী চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী
চিরস্থায়ী চিরকাল ব্যপী স্থায়ী
তিমিরবিদারী তিমিরকে বিদারী
দেশবিভগ দেশকে বিবাগ
দেশভঙ্গ দেশকে ভঙ্গ
পৃষ্ঠপ্রর্দশন পৃষ্ঠকে প্রর্দশন
বিস্ময়াপন্ন বিস্ময়কে আপন্ন
রথচালন রথকে চালনা
শরনিক্ষেপ শরকে নিক্ষেপ
দু:খপ্রাপ্ত দু:খকে প্রাপ্ত
দেশ ত্যাগ দেশকে ত্যাগ
মাছধরা মাছকে ধরা


(তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস )
ঘিভাজা ঘি দ্বারা ভাজা
ছায়াশীতল ছায়া দ্বারা শীতল
জনার্কীণ জন দ্বারা আর্কীণ
জলসেচন জল দ্বারা সেচন
ঢেঁকিছাটা ঢেকিঁ দ্বারা ছাটা
ন্যায়সঙ্গত ন্যায় দ্বারা সঙ্গত
পদদলিত পদ দ্বারা দলিত
পুস্পাঞ্জলি পুস্প দিযে অঞ্জলি
বাগবিতন্ডতা বাক্‌ দ্বারা বিতন্ডা
বাগদত্তা বাক্‌ দ্বারা দত্তা
মধুমাখা মধু দ্বারা মাখা
মনগড়া মন দ্বারা গড়া
মেঘলুপ্ত মেঘ দ্বারা লুপ্ত
যুক্তিসঙ্গত যু্ক্তি দ্বারা সঙ্গত
রাস্ট্রপতি রাষ্ট্রের পতি
শোকার্ত শোক দ্বারা আর্ত
শ্রমলব্ধ শ্রম দ্বারা লব্ধ
জ্ঞানশূন্য জ্ঞান দ্বারা শূন্য
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস :-


তপোবন তপের নিমিত্ত বন
দেবদত্ত দেবকে দত্ত
গুরুভক্তি গুরুকে ভক্তি
বিয়েপাগল বিয়ের জন্যে পাগল
রান্নঘর রান্নার জন্যে ঘর
সেচন-কলস সেচনের নিমিত্ত কলস
হজযাত্রা হজের জন্য যাত্রা


পঞ্চমী তৎপুরুষ
পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
দেশপলাতক দেশ থেকে পলাতক
জন্মান্ধ জন্ম থেকে অন্ধ
পদচ্যুত পদ থেকে চ্যুত
বিলাত-ফেরত বিলাত থেকে ফেরত
মুখভ্রষ্ট মুখ থেকে ভ্রষ্ট
মেঘমুক্ত মেঘ থেকে মুক্ত
যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ থেকে বিরতি
লোকভয় লোক থেকে ভয়
সত্যভ্রষ্ট সত্য থেকে ভ্রষ্ট


ষষ্ঠী তৎপুরুস সমাস:-
উপলখন্ড
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
উপলের খন্ড
অপরাহ্ন অহ্নের অপর
অশ্বপদ অশ্বের পদ
কর্মকর্তা কর্মের কর্তা
কবিগুরু কবিদের গুরু
কলঙ্করেখা কলঙ্কের রেখা
খেয়া ঘাট খেয়ার ঘাট
গল্পপ্রেমিক গল্পের প্রেমিক
গৃহর্কত্রী গৃহের কর্ত্রী
চা-বাগান চায়ের বাগান
জীবনসঞ্চার জীবনের সঞ্চার
ঝর্নাধারা ঝর্ণার ধারা
নবীনবরণ নবীনদের বরণ
নাতজামাই নাতনির জামাই
পাষাণস্তুপ পাষাণের স্তুপ
পুস্পসৌরভ পুস্পের সৌরভ
প্রাণবধ প্রাণের বধ
বজ্রসম বজ্রের সম
বনমধ্য বনের মধ্যে
রাজপুত্র রাজর পুত্র
বিধিলিপি বিধির লিপি
ভারার্পণ ভারের অর্পণ
ভুজবল ভুজের বল
মনমধ্যে মনের মধ্যে
মামাবাড়ি মামার বাড়ি
মার্তন্ডপ্রায় মার্তন্ডের ন্যায়
মৃগশিশু মৃগীর শিশু
রাজদন্ড রাজার দন্ড
রাজনীতি রাজার নীতি
রাজপথ পথের রাজা
রাজহংস হংসের রাজা
সুখসময় সুখের সময়


সপ্তমী তৎপুরুস সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
অকালপক্ক অকালে পক্ক
অকাল বার্ধক্য অকালে বার্ধক্য
অকাল বার্ধক্য অকালে বার্ধক্য
অকালমৃত্যু অকালে মৃত্যু
গাছপাকা গাছে পাকা
গুনমুগ্ধ গুণে মুগ্ধ
বনভোজন বনে ভোজন
তমসাচ্ছন্ন তমসায় আচ্ছন্ন
রথারোহণ রথে আরোহণ
রাতকানা রাতে কানা
সলিলসমাধি সলিলে সমাধি


উপপদ তৎপুরুস সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
ইন্দ্রজিৎ ইন্দ্রকে জয় করেছে যে
কুম্ভকার কুম্ভ করে যে
দ্রুতগামী দ্রুত গমন করে যে
ক্ষীণজীবী ক্ষীণভাবে বাচেঁ যে
গায়েপড়া গায়ে পড়ে যে
গৃহস্থ গৃহে থাকে যে
জাদুকর জাদু করে যে
পকেটমার পকেট মারে যে
পঙ্কজ পঙ্কে জন্মে যে
বাজিকর বাজি করে য়ে
প্রিয়ংবদা প্রিয়ম (প্রিয় বাক্য ) বলে যে
বাস্তুহারা বাস্তু হারিয়েছে যে
মধুকর মধু করে যে
মৃত্যুঞ্জয় মৃত্যুকে জয় করেছে যে
সত্যবাদী সত্য বলে যে


অলুক তৎপুরুস সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
গানের আসর গানের আসর
ঘোড়ারডিম ঘোড়ার ডিম
সোনার প্রতিমা সোনার প্রতিমা
হাতেছড়ি হাতে ছড়ি


ন্ঞ্‌ তৎপুরুস সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
াক্ষত নয় ক্ষত
আকাল ন কাল
অকাতর নয় কাতর
অনতিবৃহৎ নয় অতিবৃহৎ
অনশন ন অশন
অনর্থ ন অর্থ
অনাচার নেই আচার
অনাসক্ত নয় আসক্ত
অমানুষ ন মানুষ
অনাহার ন আহার
অনিবার্য নয় নিবার্য


প্রাদী সমাস সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য


বহুব্রীহি সমাস:
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
অল্পপ্রাণ অল্প প্রান যার
আশীবিষ আশীতে বিষ যার
কালাকুলি কোলে কোলে যে মিলন
একরোখা এক দিকে রোখ যার
উর্নাভ ঊর্ণা নভিতে যার
কমবখ্‌ত কম বখ্‌ত যে
ক্ষুরধারা ক্ষুরের ন্যায় ধারা যার
গল্প প্রেমিক গল্পে প্রেম আছে যার
চতুর্ভূজ চতু: ভুজ যার
চতুস্পদী চার পদ আছে যার
চন্দ্রচূড় চন্দ্র চূড়ায় যার
চৌরাস্তা চৌ রাস্তার মিলন যেখানে
জয়ন্তী জন্ম তিথি উপলক্ষে অনিুষ্ঠান
তিমিরকুন্তলা তিমিরের ণ্যায় কুন্তল যার
তেপায়া তে পায়া আছে যাতে
দশানন দশ আনন যার
দোভাষী দো ভাষা আয়ত্বে আছে যার
নিরর্থক নেই অর্থ যাতে
নদীমাতৃক নদী মাতা যার
নীলকন্ঠ নীল কন্ঠ যার
পাঁচগজিক পাঁচ গজ পরিমাণ যা
পর্দাপ্রিয় পর্দা প্রিয় যার
পশুরী পাঁচ সের পরিমাণ যাতে
পদ্মআঁখি পদ্মের ন্যায় আঁখি
বিপত্নীক বি (গত) পত্নী যার
বিমনা বিচলিত মন যার
বিশালাক্ষী বিশাল অক্ষি য়ার
বীণাপাণি বীণা পাণিতে যার
মকরমুখো মকরের দিকে মুখ যার
মহাত্না্ মহৎ আত্না যার
মন্দভাগ্য মন্দভাগ্য যার
ষড়ভূজ ষট্‌ ভুজ যার
সর্তীথ সমান তীর্থ যাদের
শ্বাপদ শ্ব-এর মতো পদ যার
সহোদর সমান উদর যার
সুহৃদ সুন্দর হৃদয় যার
সুহৃদয় সুন্দর হৃদয় যার
সুশীল সু শীল যার
শৌখিন শখ আছে যার
স্বল্পপ্রাণ স্বল্প প্রাণ যার
হতভাগ্য হত ভাগ্য যার
হাভাতে ভাতের অভাব যার


ব্যাতিহার বহুব্রীহি সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
কানাকানি কানে কানে যে কথা
কুলাকুলি কোলে কোলে যে মিলন
গলাগলি গলায় গলায় যে মিলন
চোখাচোখি চোখে চোখে যে কথা
রক্তারক্তি রক্তপাত করে যে যুদ্ধ
লাঠালাঠি লাঠিতে লাঠিতে যে সংঘর্ষ
হাতাহাতি হাতে হাতে যে দ্বন্দ
হাসাহাসি হাসতে হসতে যে ক্রিয়া


নঞ্‌ বহুব্রীহি সমাস: -
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
অনাশ্রিত নেই আশ্রয় যার
অনৈক্য নেই ঐক্য যার
অবিশ্বাস্য নয় বিশ্বাসযোগ্য যা
নিরর্থক নেই অর্থ যাতে
বেতার নেই তার যাতে
বেওয়ারিশ নেই ওয়ারিশ যার
বেহায়া নেই হায়া(লজ্জা) যার




অলুক বহুব্রীহি সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
গায়ে -হলুদ গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে
তিমিরকুন্তলা উপমানবহুব্রীহি তিমিরের ন্যায় কুন্তল যার (স্ত্রী )  





 কর্মধারয় সমাস :-
বিশেস্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সামাস বলে
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
ক্রীতদাদস ক্রীত যে দাস
অলসতন্দ্রা অলস যে তন্দ্রা
ইগলপাখি ইগল নামের পাখি
কদাকার কু যে আকার
গণ্যমান্য যিনি গণ্য তিনি মান্য
গিন্নিমা যিনি গিন্নি তিনি মা
নবপৃথিবী নব যে পৃথিবী
নবযৌবন নব যে যৌবন
নীলপদ্ম নীল যে পদ্ম
প্রানচঞ্চল চঞ্চল যে প্রান
বেগুনভাজা ভাজা যে বেগুন
মহাজন মহান যে জন
মহাপৃথিবী মহা যে পৃথিবী
মিঠাকড়া যা মিঠা তাই কড়া
মৃদুমন্দ যা মৃদু তাই মন্দ
লালফুল লাল যে ফুল
লালগোলাপ লাল যে গোলাপ
সজ্জন সৎ যে জন


মধ্যপদলোপী কর্ধারয় সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
আয়কর আয়ের উপড় কর
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী
গোলাপফুল যা গোলাপ তাই ফুল
উর্ণাজাল উর্ণা নির্মিত জাল
খেয়াঘাট খেয়া পারাপারের ঘাট
গণতন্ত্র গণ নিয়ন্ত্রিত তন্ত্র
জয়পতাকা জয়সূচক পতাকা
জয়মূকুট জয়সূচক মুকুট
জীবনবিমা জীবন হানির আশাঙ্কায় যে বিমা
জোস্নারাত জ্যোৎস্না বিধৌত রাত
ডাকবার্তা ডাক প্রেরিত বার্তা
দুধ-ভাত দুধ মিশ্রিত অন্ন
ধর্মকর্ম ধর্মবিহিত কর্ম
ধর্মকার্য ধর্ম বিহিত কার্য
ধর্মঘট ধর্ম রক্ষার্থে ঘট
পলান্ন পল (মাংস) মিশ্রিত অন্ন
পানাপুকুর পানাভর্তি পুকুর
প্রাণভয় প্রাণ হারানোর ভয়
ফৌজদারি-আদালত ফৌজদারি বিষয়ক যে আদালত
বরযাত্রী বরানুগত যাত্রী
বিরানব্বই বি (দ্বি) অধিক নব্বই
মমতারস মমতা মিশ্রিত রস
মৌমাছি মৌ (মধু) আশ্রিত মাছি
রক্তকমল রক্ত বর্নের কমল
ষড়যন্ত্র ষড়ে বিধ যন্ত্র
সন্ধ্যাপ্রদীপ সন্ধ্যা বেলায় জ্বালানো প্রদীপ
সংবাদপত্র সংবাদ যুক্তপত্র
সিংহাসন সিংহ চিহ্নিত আসন
হাটুঁ জল হাঁটু পর্যন্ত জল


উপমান কর্মধারয় সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য . . . . .
কঁচুকাটা কচুর মত কাটা
কাজল কালো কাজলে ন্যায় কালো
কুসুমকোমল কুসুমের ন্যায় কোমল
তুষারশীতল তুষারের ন্যায় শীতল
তুষারধবল তুষারের ন্যয় ধবল
ভিখারি দশা ভিখারির ন্যায় দশা
বজ্রকন্ঠ বজ্রের ন্যায় কন্ঠ
বজ্রকঠোর বজ্রের ন্যায় কঠোর
মিমকালো মিশির ন্যায় কালো
হাঁটুজল হাঁপরিমাণ জল
উপমিত কর্মধারয় সমাস .
কাজলকালো কাজলের ন্যায় কালো
ওলকপি ওল কপির ন্যায়
চাঁদমুখ চাঁদের ন্যায় মুখ
প্রাণপ্রিয় প্রাণের মতো প্রিয়
বাহুলতা বাহু লতার ন্যায়
ব-দ্বীপ ব-এর মতো দ্বীপ
মুখচন্দ্র মুখ চন্দ্রের ন্যায়
ফুলকুমারী কুমারী ফুলের ন্যায়
রক্তকমল কমল রক্তের ন্যায়
রূপক কর্মধারয় সমাস
.
ক্ষুধানল ক্ষুধা রূপ অনল
কালসিন্ধু কাল রূপ সিন্ধু
খড়মপা খড়ম রূপ পা
জীবনবারি জীবন রূপ বারি
জীবননদী জীবন রূপ নদী
দিলদরিয়া দিল রূপ দরিয়া
দেহলতা দেহ রূপ লতা
পরানপাকি পরান রূপ পাখি
প্রাণপাখি প্রাণ রূপ পাখি
প্রাণভোমরা প্রাণ রূপ ভোমরা
বিষাদসিন্ধু বিষাদ রূপ সিন্ধু
ভবনদী ভব রূপ নদী
মনবিহঙ্গ মন রূপ বিহঙ্গ
মনমাঝি মন রূপ মাঝি
মোহনিদ্রা মোহ রূপ নিদ্রা
যৌবনসূর্য যৌবন রূপ সূর্য
দ্বিগুসমাস সমাস:-
প্রদত্ত শব্দ . . . . . ব্যাসবাক্য
তেপান্তর তে প্রান্তরের সমাহার
চতুদর্শপদী চতুদর্শ পদের সমাহার
তেমাথা তে মাথার সমাহার
তেরোনদী তেরো নদীর সমাহার


নিত্য সমাস:-
বিগত সালগুলোতে বোর্ডে নিত্য সমাসের উদাহরণ
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য
কালান্তর অন্যকাল
গৃহান্তর অন্য গৃহ
গ্রামান্তর অন্য গ্রাম
ঘোলাটে ঈষৎ ঘোলা
তন্মাত্র কেবল তা
দেশান্তর অন্য দেশ
দ্বীপান্তর অন্য দ্বীপ
মতান্তর অন্যমত
মাথাপিছু প্রতি মাথা
যুগান্তর অন্য যুগ
বাক্যান্তর অন্য বাক্য
লোকটি একটি লোক
রূপান্তর অন্য রূপ
প্রাদি সামাস
অতিমাত্র অতি (অতিক্রান্ত) মাত্রা

----------:সমাপ্ত :--------  

No comments: