Gallery

Breaking

Friday 3 January 2020

মাসি পিসি বাংলা গদ্য

  গদ্য - মাসি পিসি


✿কবি পরিচিতি:
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকায় ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯এ মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতার নাম নীরদাসুন্দরী দেবী। তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকনাম মানিক । বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন।

প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। তাপর জীবনের বাকি আটাশ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখে গেছেন। উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক হিসেবে মানিক বাংলা সাহিত্যে খ্যাতিমান। অল্প সময়েই তিনি সৃষ্টি করেছেন প্রায় চল্লিশটি উপন্যাস ও প্রায় তিনশ ছোটগল্প। সেই সঙ্গে লিখেছেন কিছু কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, ও ডায়েরি। বিজ্ঞানমনস্ক এই লেখক মানুষের জগৎ তথা অন্তর্জীবনের রূপকার হিসেবে সার্থকতা দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে সমাজবাস্তবতার শিল্পি হিসেবেও সাক্ষর রেখেছেন। ‘জননী’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, পুতুলনাচের ইতিকথা’, ‘চিহ্ন’, প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। তাঁর বিখ্যাত ছোটগল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য : ‘প্রাগেতিহাসিক’, ‘সরিসৃপ’, ‘সমুদ্রের স্বদ’, ‘কুষ্ঠরোগীর বৌ’, ‘টিকটিকি’, ‘হলুদ পোড়া’, ‘আজকাল পরশুর গল্প’,‘হারানের নাসজামাই’, ‘ছোটবকুল পুরের যাত্রী’ প্রভৃতি।

কলকাতায় ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তেসরা ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

✿পাঠ-পরিচিতি:-
‘মাসিপিসি’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতার ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় ১৩৫২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায় (মার্চ-এপ্রিল ১৯৪৬)। পরে এটি সংকলিত হয় ‘পরিস্থিতি’ (অক্টোবর ১৯৪৬) নামক গল্পগ্রন্থে। বর্তমান পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে ‘ঐতিহ্য’ প্রকাশিত মানিক-রচনাবলি পঞ্চম খণ্ড থেকে।

স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার পিতৃমাতৃহীন এক তরুণীর করুন জীবনকাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে ‘মাসি-পিসি’ গল্প। আহ্লাদি নামক ওই তরুণীর মাসি ও পিসি দুজনই বিধবা ও নিঃস্ব। তারা তাদের অস্তিত্বরক্ষার পাশাপাশি বিরূপ বিশ্ব থেকে আহ্লাদিকে রক্ষার জন্য যে বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী সংগ্রাম পরিচালনা করে সেটাই গল্পটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। অত্যvচারী স্বামী এবং লালসা-উন্মত্ত জোতদার, দারোগা ও গুণ্ডা-বদমাশদের আক্রমণ থেকে আহ্লাদিকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে অসহায় দুই বিধবার দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবনযুদ্ধ খুবই প্রশংসনীয়। দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী স্মৃতি, জীবিকা নির্বাহের কঠিন সংগ্রাম, নারী হয়ে নৌকাচালনা ও সবজির ব্যবসায় পরিচালনা প্রভৃতি এ গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক।

সৃজনশীল প্রশ্ন
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিঃসন্তান ও বিধবা ফাতেমার আপন বলতে কেউ নেই। একদিন সকালে রাস্তায় একটি মেয়েকে কাঁদতে দেখেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েটি বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। সব শুনে তিনি মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন, মাতৃস্নেহে আশ্রয় দেন। স্বামীপক্ষ খবর পেয়ে তাকে নিয়ে যেতে চায়। মেয়েটি কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে যেতে ইচ্ছুক নয়। বৃদ্ধা ফাতেমাও মেয়েটিকে যেতে দেননি। এতে তাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। মৃত্যুর আগে বৃদ্ধা মেয়েটিকে সমুদয় সম্পত্তি দান করে যান।

ক. ‘ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়’—উক্তিটি কার?
খ. ‘যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি’—উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের মেয়েটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির সঙ্গে কিভাবে সঙ্গতিপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি ও উদ্দীপকের বৃদ্ধা কি একসূত্রে গাঁথা? মতামত দাও।

উত্তর :

ক। ‘ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়’—উক্তিটি পিসির।


খ। ‘যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি’—উক্তিটি দ্বারা সমাজের কুচক্রীদের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে দুই বিধবার দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবনযুদ্ধের প্রস্তুতিকে বোঝানো হয়েছে। আহ্লাদিকে অপহরণ করার হীন মতলবে জোতদার ও দারোগা বাবু কানাই চৌকিদারকে পাঠায় মাসি-পিসির বাড়িতে। তারা কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। কিন্তু মাসি-পিসি তা বুঝতে পারে। তারা চিত্কার করে লোক জড়ো করে। অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে দোষীদের। কিন্তু তার পরও শত্রুর অনিষ্ট বিষয়ে নিশ্চিত হয় না মাসি-পিসি। তাই বড় গামলাভর্তি জল ও কাঁথা আর কম্বল ভিজিয়ে রাখে। হাঁড়ি-পাতিল ভরে রাখে। আগুন দিলে তাতে নেভানো যাতে সহজ হয় এ জন্য এ প্রস্তুতি। আর হাতের কাছে রাখে ধারালো অস্ত্র।


গ। নির্যাতিতা ও অসহায়ত্বের প্রতিনিধি হিসেবে উদ্দীকের মেয়েটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আহ্লাদির। সে স্বামী-সংসারে নির্যাতিতা। স্বামীর ঘরে টিকতে না পেরে বিধবা মাসি-পিসির কাছে ঠাঁই নেয়। মাসি-পিসির যত্নের কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু আশপাশের কুচক্রীরা কুদৃষ্টি দিয়ে তার জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে। স্বামীর বাড়ি থেকে হুমকি আসে। জোতদার দারোগা বাবুর সহায়তায় চৌকিদার পাঠায়। বাবার সম্পদের উত্তরাধিকারী হওয়ায় অনেকেই তাকে খরিদ করার পাঁয়তারা করে। উদ্দীপকের ষাটোর্ধ্ব ফাতেমা আশ্রয় দেন অসহায় মেয়েটিকে। মেয়েটি স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল। বৃদ্ধা মাতৃস্নেহে তাকে লালন করতে থাকেন। আপন করে নেন। স্বামীর ঘর থেকে নিতে এলেও বৃদ্ধা যেতে দেননি মেয়েটিকে। মৃত্যুকালে সব সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণ করে যান এই মেয়েটিকে। আর এখানেই উদ্দীপকের মেয়েটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।


ঘ। ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি স্বামী-সংসারে নির্যাতিতা। অসহায় হয়ে সে মাসি-পিসির কাছে আসে। সেখানে যত্ন-আত্তির ত্রুটি ছিল না তার। কিন্তু আশপাশের দুর্বৃত্তদের চোখ পড়ে অসহায় মেয়েটির ওপর। মাসি-পিসি জীবন বাজি রেখে মেয়েটিকে রক্ষা করতে চান। মাসি-পিসি সারাক্ষণ চিন্তা করেন খাইয়ে-পরিয়ে যত্নে রাখতে হবে আহ্লাদিকে। শ্বশুরবাড়ির কবল থেকে বাঁচাতে হবে, এমনকি গাঁয়ের বজ্জাতদের নজর থেকে সামলে রাখতে হবে, কত দায়িত্ব তাদের, কত কাজ। উদ্দীপকের ফাতেমা বেগম বিধবা। সকালে হাঁটতে গিয়ে অসহায় একটি মেয়েকে ঘরে তুলে আনেন তিনি। মেয়েটি স্বামীর হাতে নির্যাতিতা। শ্বশুরবাড়ি থেকে নিতে এলেও ফাতেমা বেগম যেতে দেননি তাকে। অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয় তাকে। এমনকি মৃত্যুর আগে নিজের সম্পত্তির উত্তরাধিকার করে যান মেয়েটিকে। উদ্দীপকের ফাতেমা বেগম বিধবা। কিন্তু মানবিকবোধে উজ্জীবিত এক মহান দায়িত্ববান নারী। অন্যদিকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি ও পিসি আহ্লাদির প্রেক্ষিতে দায়িত্ব-কর্তব্যের এক বিরল দৃষ্টান্ত। সার্বিক আলোচনায় বলা যায়, ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি ও পিসি এবং উদ্দীপকের বৃদ্ধা একসূত্রে গাঁথা।

৩। আব্দুল লতিফের কিশোরী মেয়েটা এবার বাপের বাড়ি এসে কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চাচ্ছে না। যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে মেয়েটি শ্বশুরবাড়ির বৈবাহিক অত্যাচার কিছুইতেই সহ্য করতে পারছে না। আব্দুল লতিফ এ ব্যাপারে মেয়ের ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করে না। বরং প্রতিবাদী হয়ে ওঠে এবং যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করে।

ক) ‘মাসি-পিসি’ গল্পের জীবনভাষ্য কী? ১
খ) জগু কেন আহ্লাদির উপর নির্মম নির্যাতন চালায়? ২
গ) উদ্দীপকের আব্দুল লতিফ ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ) ‘উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের চেতনা অভিন্ন’-মন্তব্য যাচাই কর। ৪




গুরুত্বপূর্ণ...

। ১. শেষবেলায় খালে থাকে - পুরো ভাটা
২. খালের ধারে লাগানো সালতিটি কোথায় ছিলো - কংক্রিটেরর পুলের উপর
৩. সালতি থেকে পাড়ে তোলা হচ্ছে - খড়
৪. মাঝখানে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে- আহ্লাদি
৫. অল্প বয়সী বৌটির গায়ে ছিলো - নকশা পাড়ের সস্তা সাদা শাড়ি
৬. আঁট সাঁট থমথমে গড়ন,গোলগাল মুখ- আহ্লাদির
৭. মাসি-পিসি ফিরছে কৈলেশ উক্তিটি- বুড়ো লোকটির(রহমানের)
৮. "বেলা আর নেই কৈলেশ " উক্তিটি - মাসি বলে বিরক্তির সঙ্গে
৯. "অনেকটা পথ যেতে হবে কৈলেশ " উক্তিটি - পিসির
১০. "বেলা বেশি নেই কৈলেশ " উক্তিটি - পিসির
১১. কৈলেশের সাথে দেখা হয়েছিল - জগুর
১২. জগু হল- আহ্লাদির স্বামী
১৩. উড়ে ত্রসে জুড়ে বসেছে - মাসি
১৪. পিসির অহংকার আর খোঁচাই সবচেয়ে অসহ্য লাগত- মাসির
১৫. আহ্লাদিকে বাঁচাতে হবে- শ্বশুরঘরের কবল থেকে
১৬. আহ্লাদিকে সামলে রাখতে হবে - গাঁয়ের বজ্জাতদের নজর থেকে
১৭. জগুর বৌ নেবার আগ্রহ- খুবই স্পষ্ট
১৮. "ডারসনি আহ্লাদি " উক্তিটি - মাসির
১৯. "ডরাসনি,ডর কিসের "? উক্তিটি- পিসির
২০. "কাছারি বাড়ি যেতে হবে ত্রকবার " উক্তিটি- কানাইয়ের
২১. গাঁয়ের গুণ্ডা হলো- সাধু বৈদ্য ওসমানেরা
২২. ফেটি-বাধা বাবরি চুল কার- বৈদ্যের
২৩. কাঁঠাল গাছের ছায়ায় কত জন ঘুপটি মেরে ছিলো- তিন - চারজন।







মাসি-পিসি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

১। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক নাম কী?
ক. নয়ন খ. খোকা
গ. মানিক ঘ. প্রফুল­

২। জল নেমে গিয়ে কী বেরিয়ে পড়েছে?
ক. ইটপাটকেল
খ. ভাঙা নৌকা
গ. গাছের গুঁড়ি
ঘ. ভেজা খড়

৩। কয়টি সালতি পাশাপাশি জোড়া লাগানো ছিল?
ক. দুইটি খ. তিনটি
গ. চারটি ঘ. পাঁচটি

৪। আহ্লাদী স্বামীর কাছে যেতে চায় না, কারণ-
ক. স্বামীর অত্যাচার
খ. অর্থকষ্ট
গ. স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে
ঘ. স্বামীর পঙ্গু হওয়া

৫। নিচের কোন পেশাটির সঙ্গে কানাই জড়িত?
ক. মাছধরা খ. ওষুধ বিক্রি
গ. চৌকিদারি ঘ. কৃষিকাজ

৬। সালতি সম্পর্কে নিচের কোন বাক্যটি প্রযোজ্য?
ক. শালকাঠ নির্মিত সরু ডোঙ্গা
খ. কদমকাঠ নির্মিত সরু ডোঙ্গা
গ. পরিধেয় বস্ত্রবিশেষ
ঘ. ধানবিশেষ

৭। আহ্লাদী স্বামীর ঘরে যেতে চায় না কেন?
ক. খুন হওয়ার ভয়ে
খ. যৌতুকের কথা শুনে
গ. মাসি-পিসির মায়ায়
ঘ. বাবার সম্পত্তি রক্ষায়

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
নিজের শেষ সম্বল বিক্রি করে হরিপদ মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেও স্বামীর অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত সে বাবার সংসারেই ফিরে আসে। শ্বশুরবাড়ির কথা বললেই ভয়ে মেয়েটি আঁতকে ওঠে।

৮। উদ্দীপকের মেয়েটি কার আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে?
ক. দিগম্বরী
খ. আহ্লাদী
গ. সিলভী
ঘ. হজের

৯। উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মূল ভাব কোনটি?
ক. জীবিকার ধরন
খ. মমত্ববোধ
গ. নির্যাতনের স্বরূপ
ঘ. দায়িত্ববোধ

১০। কৈলাশ ব্যস্ত ছিল কেন?
ক. ধানের আঁটি বাঁধায়
খ. নৌকাটি খুলে দিতে
গ. বাহকের মাথায় খড় চাপাতে
ঘ. নিজে খড় বহন করতে

১১। মাসি বিরক্ত হয় কেন?
ক. কৈলাশের গড়িমসিতে
খ. পিসির আচরণে
গ. বাহকের কথায়
ঘ. জগুর কথা শুনে

১২। ফিকির বলতে বোঝায়-
ক. কৌশল খ. উদ্দেশ্য
গ. ফাঁকিবাজ ঘ. ফকির
১৩। বুড়ো রহমান কার মাথায় খড় চাপিয়ে যায়?
ক. বাহকের খ. কৈলাশের
গ. জগুর ঘ. যুবকটির

১৪। মাসি-পিসি জলে কী ভিজিয়ে রাখে?
ক. কাঁথা-কম্বল
খ. পুরনো বালিশ
গ. ছেঁড়া কাপড়
ঘ. কাঁথা-বালিশ

১৫। মাসি-পিসি গল্পটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে কোনটি?
ক. মাসি-পিসির কর্মদক্ষতা
খ. তাদের বুদ্ধিদীপ্ত চেতনা
গ. মাসি-পিসির সরলতা
ঘ. মাতৃত্বের মহিমা

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
পিতৃ-মাতৃহীন মিতু স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চলে আসে ফুফুর কাছে। গ্রামের উঠতি যুবকের দৃষ্টি পড়ে মিতুর ওপর। কিন্তু ফুফু সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে মিতুকে লালসা-উন্মুত্ত লোকদের হাত থেকে আগলে রাখে।

১৬। উদ্দীপকের মিতু তোমার পঠিত কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
ক. হাজেরা খ. আহ্লাদী
গ. দিগম্বরী ঘ. সিনথিয়া

১৭। উদ্দীপকের ফুফুর মধ্যে মাসি-পিসি চরিত্রের যে দিকটি ইঙ্গিত করে-
i. মমত্ববোধ
ii. দায়িত্ববোধ
iii. আত্মসচেতন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

১৮। আহ্লাদী কান পেতে রাখে কেন?
ক. মাসির ইশারায়
খ. কৈলাশের কথা শুনতে
গ. জগুর কথা মনে পড়ায়
ঘ. পিসির কথা শুনতে

১৯। মাসি-পিসির মধ্যে গভীর ভাব গড়ে ওঠার কারণ-
ক. অর্থ উপার্জন
খ. দুজনই আশ্রিত
গ. একসাথে ব্যবসা করে
ঘ. আহ্লাদীর দায়িত্ব পড়ায়

২০। কৈলাশের প্রতিবাদের অন্তরালে মূলত কী লুকিয়ে আছে?
ক. ভণ্ডামি খ. শঠতা
গ. মিথ্যাচার ঘ. সরলতা

২১। মাসি-পিসি আহ্লাদীকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে চায় না। কারণ-
i. সন্তানবাৎসল্যে
ii. নির্যাতনের ভয়ে
iii. আহ্লাদী যেতে চায় না বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. i ও ii
গ. i ও iii ঘ. ii ও iii

২২। কৈলাশ বাহকের মাথায় কী চাপাতে ব্যস্ত ছিল?
ক. খড় খ. ধান
গ. বাঁশ ঘ. ঘাস
২৩। আহ্লাদীর মাসির নাম কী?
ক. বিপুলা খ. পদী
গ. রাধিকা ঘ. সবিতা

২৪। কানাইয়ের সাথে গোকুলের কতজন পেয়াদা এসেছে?
ক. দুজন
খ. তিনজন
গ. চারজন
ঘ. পাঁচজন

২৫। বেমক্কা শব্দের অর্থ হিসেবে নিচের যেটি গ্রহণীয়-
i. স্থানবহিভর্র্‚ত
ii. অসংগত
iii. অসম্ভব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

২৬। ‘মাসি-পিসি’ গল্পের একটি অন্যতম দিক কী?
ক. সমাজ শোষণ
খ. নারী নির্যাতন
গ. নারীর ব্যক্তিত্ব চেতনা
ঘ. স্বাধীনচেতা মানুষ

২৭। আহ্লাদী স্বামীর ঘরে যেতে না চাওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ-
ক. স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে
খ. যৌতুকের চাপ
গ. অমানবিক নির্যাতন
ঘ. শ্বশুর-শাশুড়ির যন্ত্রণা

২৮। ‘মাসি-পিসি’ গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক হলো-
i. দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শ স্মৃতি
ii. প্রকৃতির প্রতি নিবিড়তা
iii. মানবিক জীবনসংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii

২৯। কত বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায় মাসি-পিসি গল্পটি প্রকাশিত হয়?
ক. ১৩৪৬ বঙ্গাব্দে
খ. ১৩৫২ বঙ্গাব্দে
গ. ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে
ঘ. ১৩৯৫ বঙ্গাব্দে

৩০। বাইরে থেকে কার হাঁক আসে?
ক. গোকুলের
খ. কানাই চৌকিদারের
গ. সরকার বাবুর
ঘ. পেয়াদার

৩১। স্বামী পরিত্যক্ত মোমেনা বেগম কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মোমেনা বেগম নিচের কোন চরিত্রকে স্মরণ করিয়ে দেন?
ক. আহ্লাদী
খ. বুড়ি
গ. মাসি-পিসি
ঘ. দিগম্বরী

৩২। জগু মামলা করবে কেন?
ক. মাসি-পিসিকে ভয় দেখাতে
খ. বউকে নেওয়ার জন্য
গ. জমি রক্ষা করতে
ঘ. বউকে ভয় দেখাতে

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিপ্রা পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। কিন্তু সমাজে অপমানের কথা চিন্তা করে বাবা শিপ্রাকে আবার শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেন।

৩৩। উদ্দীপকের শিপ্রার সঙ্গে কোন চরিত্রের বৈপরীত্য রয়েছে?
ক. দিগম্বরী খ. আহ্লাদী
গ. সিলভী ঘ. সিনথিয়া

৩৪। উদ্দীপকের শিপ্রার বাবার চরিত্রে কোন গুণটি থাকলে মাসি চরিত্রের ধারক হতে পারত?
ক. সহনশীল খ. প্রতিবাদী
গ. সততা ঘ. হাতুল

৩৫। স্বভাবগত কারণে নিচের কোন স্থানের সঙ্গে জগুর সম্পর্ক রয়েছে?
ক. চায়ের দোকান
খ. মন্দির
গ. স্কুলমাঠ
ঘ. শুঁড়িখানা

৩৬। মাসি-পিসি আহ্লাদীকে পাঠাতে চায় না, কারণ-
ক. জগু নির্যাতন করে
খ. জগু অর্থলোভী
গ. জগু দরিদ্র
ঘ. জগু অশিক্ষিত

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
চার বছরের তপনকে নিয়ে সদ্য বিধবা হয়েছে রেবতী। কিন্তু বৈধব্য গ্রহণ করতে না করতেই গ্রামের প্রভাবশালী হরিপদ তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। এ নিয়ে সমাজের কাছে বিচার চেয়েও বিচার পায়নি রেবতী। অবশেষে এক দিন বঁটি দিয়ে হরিপদের পা কেটে দেয় রেবতী।

৩৭। উদ্দীপকের হরিপদ শ্রেণির লোকের সঙ্গে নিচের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে?
ক. কৈলাশ, কানাই
খ. কানাই, গোকুল
গ. জগু, কৈলাশ
ঘ. কৈলাশ, রহমান

৩৮। সাদৃশ্যগত দিকটি হলো-
i. আর্থিক দীনতা
ii. চারিত্র্যিক স্খলন
iii. ক্ষমতার দৌরাÍয
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

৩৯। সালতি অর্থ কী? ক. আমকাঠের সরু ডোঙ্গা
খ. তালকাঠের সরু ডোঙ্গা
গ. বড় গাছের গুঁড়ি
ঘ. খাদ্যবিশেষ

৪০। অস্ফুট আর্তনাদের মতো শব্দ করে কে?
ক. মাসি-পিসি খ. বুড়ো রহমান
গ. আহ্লাদী ঘ. কৈলাশ

উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও


১. গ ২. ক ৩. ক ৪. ক ৫. গ ৬. ক ৭. ক ৮. খ ৯. গ ১০. গ ১১. ক ১২. ক ১৩. ক ১৪. ক ১৫. খ ১৬. খ ১৭. ঘ ১৮. খ ১৯. ঘ ২০. গ ২১. ঘ ২২. ক ২৩. খ ২৪. খ ২৫. ক ২৬. গ ২৭. গ ২৮. গ ২৯. খ ৩০. খ ৩১. গ ৩২. খ ৩৩
. খ ৩৪. খ ৩৫. ঘ ৩৬. ক ৩৭. খ ৩৮. গ ৩৯. খ ৪০. গ

No comments: