Gallery

Breaking

Wednesday 18 November 2020

সোনার তরী

 সোনার তরী


সোনার তরী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)


কবিতার উৎস:

“সোনার তরী” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম-কবিতা। শতাধিক বছর ধরে সোনার তরী কবিতা বিপুল আলোচনা ও নানামুখী ব্যাখ্যায় নতুন নতুন তাৎপর্যে অভিষিক্ত।

 

কবি-পরিচিতি

অসামান্য প্রতিভার অধিকারী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) আধুনিক বাংলা কবিতার প্রাণপুরুষ।

তাঁর সাহিত্যসাধনার একটি বৃহৎকাল বাংলা সাহিত্যের ‘রবীন্দ্রযুগ’ নামে পরিচিত।

মানবধর্মের জয় ও সৌন্দর্য-তৃষ্ণা রোমান্টিক এই কবির কবিতার মূল সুর।

কবিতা ছাড়াও ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি ও সংগীত রচনায় রবীন্দ্রনাথ কালজয়ী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।

তিনি ছিলেন অনন্য চিত্রশিল্পী, অনুসন্ধিৎসু বিশ্বপরিব্রাজক, দক্ষ সম্পাদক এবং অসামান্য শিক্ষা-সংগঠক ও চিন্তক।

নিজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণে নিরুৎসাহী হলেও ‘বিশ্বভারতী’ নামের বিশ্ববিদ্যালয়-এর তিনি স্বাপ্নিক ও প্রতিষ্ঠাতা।

মাত্র পনেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়।

‘গীতাঞ্জলি’ এবং অন্যান্য কাব্যের কবিতার সমন্বয়ে স্ব-অনূদিত ‘Song Offerings’ গ্রন্থের জন্য ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এশীয় হিসেবে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

বাংলা ছোটগল্পের তিনি পথিকৃৎ ও শ্রেষ্ঠ শিল্পী। ‘মানসী’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘ক্ষণিকা’, ‘বলাকা’, ‘পুনশ্চ’, ‘জন্মদিনে’, ‘শেষ লেখা’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।

কাব্যনাট্য ‘বিসর্জন’ ও ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং কাহিনি-কবিতার সংকলন ‘কথা’ ও ‘কাহিনি’ তাঁর ভিন্ন স্বাদের রচনা।



* ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কবির ‘সোনার তরী’ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
* এই কবিতাটি তিনি ১২৯৮ বঙ্গাব্দে (১৮৯২ সালে) শিলাইদহে বসে রচনা রচনা করেন (পদ্মার পাড়ে, বোটে বসে) ।
* ‘সোনার তরী’ কবিতাটি ১৮৯৪ সালে সালে প্রকাশিত হয় ।
* ‘সোনার ধান’ বলতে বস্তু জাগতিক মহৎ সৃষ্টিকর্মকে বোঝানো হয়েছে ।
* স্তবক সংখ্যা- ৬টি, লাইন- ৪২টি ।
* পূর্ণ পর্ব- ৮ মাত্রা, অপূর্ণ পর্ব- ৫ মাত্রা ।
* কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে মনে হলেও ‘শূন্য’ শব্দের কারণে বুঝা যায় মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
* বর্ষা শব্দটি আছে - ২ বার ।
* ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ - ১ বার ।
* ঠাঁই নাই - ২ বার ।
* ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে’ - ২ বার ।
* ‘সোনার তরী’ আছে - ১ বার ।
* সাপেক্ষ সর্বনাম আছে - ১ বার ।
* নির্ধারক বিশেষণ আছে - ২ বার ।
* তরণী - ১ বার ।
* তরী - ৪ বার ।
* ধান - ৪ বার ।
* নদী - ৩ বার ।
* বর্ষা - ২ বার ।
* ক্ষেত – ২ বার ।

শব্দার্থ ও টীকা
খরপরশা- শাণিত বা ধারালো বর্শা ।
আমি- সাধারন অর্থে কৃষক । প্রতীকী অর্থে কবি নিজে ।
বাঁকা জল- কালোস্রোতের প্রতীক ।
তরুছায়ামসী-মাখাঃ- গাছপালার ছায়ায় কালচে রঙ মাখা ।
মাঝি- মহাকালের প্রতীক ।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
* ‘যত চাও, তত লও’- সাপেক্ষ সর্বনাম ।
* ‘রাশি রাশি, ভারা ভারা’- নির্ধারক বিশেষণ ।
* ‘সোনার তরী’ কবিতায় কী প্রকাশ পেয়েছে?- জীবন দর্শন ।
* ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝিকে কৃষকের পরিচিত মনে হলেও তাঁর আচরণে কী ছিল- অপরিচয়ের নির্বিকারত্ব ও নিরাসক্তি ।
* কখন গ্রামখানি মেঘে ঢাকা ছিল?- প্রভাত বেলা ।
* ‘আমি একেলা’-কে একেলা?- কৃষক নামধারী কবি ।
* কবি পরপারে বা অপরপারে যে গ্রামখানি দেখেছিলেন সেটা দেখতে কেমন ছিল- তরু ছায়া মসী মাখা ।
* যখন বর্ষা এল তখন কৃষক কোন কাজে ব্যস্ত ছিলঃ- ধান কাটায় ।
* ‘বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে’- এখানে কাকে আহবান করা হয়েছে?- নৌকার মাঝিকে ।
* ‘একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা/ চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা’- এর মাধ্যেমে কবি কিসের চিত্রকল্প এঁকেছেন?- ছোট দ্বীপের ।
* ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নায় ছোট সে তরী’- এই কথাটি মাঝি কখন বলেছিল?- যখন কৃষক তার নৌকায় উঠতে চেয়ে ব্যর্থ হলো ।
* ‘কুলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা’- এর আগের লাইন কী?- গগণে গরজে মেঘ, ঘন ভরসা ।
* ‘একখানি ছোট ক্ষেত, আমি একেলা’- পরের লাইন কোনটি?- চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা ।
* ‘মসীমাখা’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?- দুর্যোগকে ।
* ‘ক্ষুরধারা’ ‘চারিদিকে বাঁকা জল’ শব্দগুলির মাধ্যেমে কী ব্যক্ত হয়েছে?- চিত্রকল্প সৃষ্টি হয়েছে ।
* কবিতার সময়কাল কখন?- প্রভাত ।
* কোন ঋতুর প্রেক্ষাপটে রচিত?- বর্ষা ।
* কোন কাব্যগ্রন্থটিকে রবীন্দ্রনাথের অনুবশ্ব বলা হয়?- ‘মানসী’ ।
* আলোচ্য কবিতায় আহবানকারী কি শেষ পর্যন্ত তরীতে উঠতে পেরেছিল?- পারে নি ।
* রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন অনুভূতি সোনার তরী কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে?- নিঃসঙ্গ বেদনা নিয়ে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার ইঙ্গিত ।

No comments: